রাজধানীর বনানীর সেতু ভবন হামলা মামলায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসকে কারাগারে পাঠানোর পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক আরিফ সোহেলের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শনিবার (৩ আগস্ট) বিকালে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে ছয় দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনাল টিমের পরিদর্শক আবু সাইদ মিয়া তাদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এসময় তাদের পক্ষের আইনজীবী শাহ মো. বাবর, জয়নাল আবেদীন মেজবাহসহ আরও অনেকেই জামিন চেয়ে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আরিফ সোহেলের জামিন মঞ্জুর করেন এবং সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বনানী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর শাহ আলম এ তথ্য জানান।
এর আগে, গত ২৯ জুলাই তাদের ৬ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
জানা যায়, গত ২৭ জুলাই রাত ১টার দিকে আসিফ মাহতাবকে উত্তরার বাসা থেকে ডিবি পুলিশ আটক করে নিয়ে যায় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন পরিবার। একই দিন রাত সোয়া তিনটার দিকে সাদা পোশাকধারী আট-নয়জনের একটি দল আরিফ সোহেলকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তারা নিজেদের সিআইডি ও ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।
গত ১৮ জুলাই সেতু ভবনে হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় সেতু ভবনের কেয়ারটেকার রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন। মামলাটিতে সেতু ভবনের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই প্রতিদিনের মতো সেতু ভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথারীতি অফিসের কার্যক্রম করতে থাকেন। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অজ্ঞাতনামা ২৫০ থেকে ৩০০ জন আসামি কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও নাশকতা করার লক্ষ্যে বেআইনি জনতাবদ্ধে আবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র, লাঠিসোঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে আমাদের অফিসের সামনে এসে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। সেতু ভবনের পার্কিংয়ে থাকা ৩২টি জিপ গাড়ি, ৯টি পিকআপ, ৭টি মাইক্রোবাস, একটি মিনিবাস, ৫টি মোটরসাইকেল, একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিলে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন হয়।