গত ৩ ফেব্রুয়ারি কারাগারে থাকা অবস্থায় সাবেক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। কারাগারে থাকা অবস্থায় একজন কীভাবে ফেসবুক আইডি ব্যবহার করছেন, তা নিয়েও ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে কথা বলেছেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
২০১৫ সালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফারুক খানকে আদালতে হাজির করা হয়। তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়।
রিমান্ড শুনানিকালে তাকে এজলাসে তোলা হয়। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত শুনানি শেষে তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে কারাগার থেকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া সম্পর্কে জানতে চান সাংবাদিকরা। এসময় ফারুক খান বলেন, ‘কারাগার থেকে কীভাবে স্ট্যাটাস দিবো? কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া যায়? এটা মিথ্যা কথা।’
গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাতে ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে সাবেক মন্ত্রী কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন।
এদিকে মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল নির্বাচনি প্রচারণার সময় বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত পথসভায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে আসামিরা অস্ত্রসহ তার গাড়িবহরে হামলা চালান। এসময় তারা খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি ভাঙচুর করে, চারটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে। হামলায় খালেদা জিয়ার নিরাপত্তারক্ষীরা আহত হন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়াকে লক্ষ্য করে আসামিরা ইট-পাথর নিক্ষেপ করলে সাধারণ পথচারীরা আহত হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এবং এর অঙ্গ সংগঠনগুলোর ২০০ থেকে ৩০০ নেতাকর্মী দেশি অস্ত্র হাতে নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলার সময় আসামিরা মূল্যবান জিনিস ছিনিয়ে নেয় ও জোরপূর্বক আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করে।
এ ঘটনায় ৫০ জনের নামে মতিঝিল থানায় মামলা করেন ব্যান্ড সংগীত শিল্পী মো. শাহরিয়ার ইমাম আসিফ।