ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। শুক্রবার (২৩ মে) ছয় দিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং স্যার এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলো– মো. তামিম হাওলাদার (৩০), পলাশ সরদার (৩০) ও সম্রাট মল্লিক (২৮)।
আদালত সূত্রে জানা যায়, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের দ্বিতীয় দফায় সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম প্রত্যেকের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে ১৩ মে দিবাগত রাতে ঢাকার গ্রিন রোড ও রাজাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরের দিন ১৪ মে তাদের কারাগার পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ১৭ মে তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের ছয় দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, গত ১৩ মে রাত পৌনে ১২টায় সাম্য তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে নিয়ে মোটরসাইকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। ফেরার পথে রমনা কালীমন্দিরের উত্তর পাশে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছান। তখন অজ্ঞাত ১০-১২ জন আসামি তাদের মোটরসাইকেল দিয়ে সাম্যের মোটরসাইকেলে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তখন সাম্য ও তার দুই বন্ধু আসামিদের কাছে মোটরসাইকেল ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করেন।
পরে অজ্ঞাত ১০-১২ জন আসামি সাম্য ও তার বন্ধুকে ইট দিয়ে আঘাত করে। কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত ও জখম করে। একজন আসামি সাম্যকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ডান পাশের উরুর পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে। তার বন্ধু মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদের ডান হাতের কজির ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে।
গুরুতর রক্তাক্ত জখম অবস্থায় সাম্য মাটিতে পড়ে গেলে এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে সাম্যকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।