X
শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে কর্মবিরতিতে থাকা কর্মচারীদের ওপর হামলার অভিযোগ

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৮ মে ২০২৫, ১৮:১০আপডেট : ২৮ মে ২০২৫, ১৮:১০

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনে আহত এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে হাসপাতালের কর্মচারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় চিকিৎসক, কর্মচারীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম জানিয়েছেন। সংঘর্ষের পর পুলিশ এবং সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হাসপাতালে নিরাপত্তাহীনতায় বুধবার (২৮ মে) সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং কর্মচারীরা। তাদের দাবি— বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন জুলাইযোদ্ধার সঙ্গে নার্স ও কর্মচারীদের বাগবিতণ্ডা, এমনকি হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। দুই দিন আগে চার জনের আত্মহত্যার চেষ্টাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের পরিবেশ আরও অস্থির হয়ে ওঠে। সবশেষ গত মঙ্গলবার কয়েকজন জুলাইযোদ্ধা দাহ্য পদার্থসহ হাসপাতালের পরিচালক পরিচালক অধ্যাপক চিকিৎসক খায়ের আহমেদ চৌধুরীর কক্ষে প্রবেশ করে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সেনাবাহিনী সেখানে গিয়ে পরিচালককে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখা ঘটনায় নিরাপত্তার দাবিতে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করছিলেন কর্মচারীরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

চিকিৎসক-নার্সদের অভিযোগ— জুলাই আন্দোলনে আহতদের একটি অংশ সকাল থেকেই হাসপাতালের ভেতরে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে এসে চিকিৎসক ও নার্সদের ওপর হামলা চালান। এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরও মারধর করেন তারা। হামলাকারীরা চাপাতি ও রড নিয়ে হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করে চিকিৎসকদের মারধর করেন। অনেকে আতঙ্কে হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্মবিরতি পালনকালে দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে একদল  লাঠি ও রড নিয়ে কর্মচারীদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকেই আহত হন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ,  সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জানে আলম জানান, সংঘর্ষের সময় জুলাইয়ে আহত এবং রোগীর স্বজনদের হামলায় আমাদের চিকিৎসক, কর্মচারীদের অনেকে আহত হয়েছেন। সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর ওনারা হাসপাতালের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারীদের উদ্ধার করেন।

প্রতক্ষদর্শীরা জানান, জুলাইয়ের আহতরা হাসপাতালের চিকিৎসক-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনেও হামলা চালায় এবং কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে তারা সেখানে স্লোগানও দেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (তেজগাঁও) আলমগীর কবির জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা জানান, মঙ্গলবার (২৭ মে) জুলাইয়ের আহত কয়েকজন বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে এখানে মানববন্ধন করেছেন। আজকে হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কর্মসূচি পালন করেছেন। উভয় পক্ষই উভয় পক্ষের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ দিয়েছেন। এখানে আজকে হাসপাতাল কর্মচারীদের কর্মসূচির মধ্যে হঠাৎ আহতদের সঙ্গে মারামারি লেগে যায়। আমরা এখানে আসার পর দেখি দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হচ্ছে। সেটি নিবৃত করার জন্য দুই পক্ষকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ভেতরে কিছু চিকিৎসক নার্স এবং সেবা নিতে আসা রোগী আটকা পড়েছিলেন, আমরা তাদেরকে বের করে নিয়ে এসেছি।

/এসও/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
মৃতের বাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেলো এক পরিবারের তিন জনের
গণঅভ্যুত্থানে আহতদের ফাস্ট ট্র্যাক চিকিৎসা ও ওষুধ সরবরাহের নির্দেশ
নারায়ণগঞ্জে পশুর হাটের দরপত্র নিয়ে সংঘর্ষ-হামলা, আহত ১৫
সর্বশেষ খবর
ফেনী সীমান্তে ১৩ জনকে পুশ ইন করলো বিএসএফ
ফেনী সীমান্তে ১৩ জনকে পুশ ইন করলো বিএসএফ
ইন্দোনেশিয়ায় পাথরের খনি ধসে নিহত ১০, নিখোঁজ অনেকে
ইন্দোনেশিয়ায় পাথরের খনি ধসে নিহত ১০, নিখোঁজ অনেকে
ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা
সরবরাহ বেশি, খাতুনগঞ্জে কমেছে মসলার দাম
সরবরাহ বেশি, খাতুনগঞ্জে কমেছে মসলার দাম
সর্বাধিক পঠিত
ভুয়া কাগজপত্রে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা, ইমিগ্রেশনে ধরা বিমানের কেবিন ক্রু
ভুয়া কাগজপত্রে আমেরিকা যাওয়ার চেষ্টা, ইমিগ্রেশনে ধরা বিমানের কেবিন ক্রু
ইসলামী ধারার ব্যাংক একীভূতকরণে এনবিএল থাকছে না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ইসলামী ধারার ব্যাংক একীভূতকরণে এনবিএল থাকছে না: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ট্রাক আটকে চাঁদা দাবি, সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার
ট্রাক আটকে চাঁদা দাবি, সেনাবাহিনীর হাতে এনসিপি নেতা গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেত্রীকে  রাস্তায় ফেলে মারধর
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক নেত্রীকে  রাস্তায় ফেলে মারধর
ফারুকের দেশ ছাড়ার গুঞ্জন
ফারুকের দেশ ছাড়ার গুঞ্জন