মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ২৫ জুন বৈঠকের আশ্বাস পেলেও দ্বিতীয় দিনের মতো কারখানা মালিককে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন শ্রম ভবনের সামনে অবস্থানকারী সৃজন্স ড্রেসেস লিমিটেডের শ্রমিকরা। সোমবার (২৩ জুন) দিনভর চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি সংশ্লিষ্ট মালিক।
রাত সাড়ে ৯টায় সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের ভেতরে আটকা রয়েছেন গাজীপুরের ওই কারখানাটির চার মালিকের একজন। আর নিচতলায় প্রধান ফটকের সামনে রয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
বিকালে শ্রম মন্ত্রণালয়ের নোটিশের মাধ্যমে জানানো হয়, আগামী বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টায় শ্রম মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা আক্তারের সভাপতিত্বে মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি ও প্রশাসনের ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
তবে শ্রমিকরা বৈঠকের ডেটলাইনে সন্তোষ প্রকাশ করলেও সে পর্যন্ত মালিককে ছাড়তে রাজি নন একাংশ। কারণ তিনি এখান থেকে বের হতে পারলে বৈঠকে উপস্থিত না থাকার আশঙ্কা করছেন তারা।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শফিউল আলম বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ জুন বৈঠকের কথা বললেও শ্রমিকদের ধারণা এখান থেকে বের হতে পারলে মালিক আবার লাপাত্তা হয়ে যেতে পারেন। তাই সে পর্যন্ত শ্রম ভবনের সামনে অবস্থান করবেন শ্রমিকরা। আর মালিককেও যেতে দেবেন না।
আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সূত্রে জানা গেছে, দুই মাসের বকেয়া বেতন ও দুইটি বোনাসের টাকা পরিশোধের দাবিতে গত ১৫ ও ১৬ জুন সেখানে বিক্ষোভ করছিলেন। মালিকপক্ষের কাছে ১ হাজার ২০০ শ্রমিকের স্বাভাবিক পাওনা ৫ কোটি টাকার বেশি। আর যদি একবারেই কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলে এর পরিমাণ হবে ২০ কোটি টাকার বেশি।
গত ১৬ জুন তাদেরকে জানানো হয়েছিল, ২২ জুন শ্রম ভবনে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক হবে।
তবে এদিন (২২ জুন) শ্রমিক প্রতিনিধিরা যথাসময়ে উপস্থিত হলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কেউ ছিলেন না। শুধু শিল্প পুলিশের প্রতিনিধি ও কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের প্রতিনিধি আর কারখানা মালিকদের ৪ জনের মধ্যে একজন এসেছেন। যেই ব্যাংকের কাছে কারখানার মর্টগেজ সেই ব্যাংকের কোনও প্রতিনিধিও আসেননি। কথা ছিল ব্যাংক প্রতিনিধি থাকবেন। এরই মধ্যে মালিকদের একটি পক্ষ পাওনা পরিশোধে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাই বৈঠক থেকে বের হয়ে হয়ে আবারও আন্দোলনে নামেন শ্রমিকরা।