ঢাকা মেয়র কাপ আন্তওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ক্রিকেট-ফুটবলের মতো জনপ্রিয় খেলাগুলোতে নতুন নতুন খেলোয়াড়ের জোগান দেবে বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, "একসময় ক্রিকেট খেলায় ঢাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড় পাওয়া যেতো। এখন সারা দেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে খেলোয়াড় এলেও ঢাকা থেকে তেমন খেলোয়াড়ই পাওয়া যায় না। কাজেই আমি মনে করি, ঢাকা মেয়র কাপের মতো এ ধরনের টুর্নামেন্টে আয়োজনের মাধ্যমে ঢাকা থেকেও আমরা জাতীয় দলের জন্য নতুন নতুন খেলোয়াড় পাবো, যারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করতে পারবে।"
শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকালে কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৪র্থ ঢাকা মেয়র কাপ আন্তওয়ার্ড ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফুটবলের ফাইনাল খেলা ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় স্টেডিয়ামে প্রচুর দর্শকের উপস্থিতি দেখে ক্রীড়ামন্ত্রী বলেন, "এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পরে আমি বেশকিছু টুর্নামেন্টের ফাইনালে গিয়েছি। কিন্তু আজকে এখানে যে পরিবেশ তা দেখে আমি সত্যিই অবাক হয়ে গেছি। যে কোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে এরকম দর্শক উপস্থিতি হয়। এত দর্শক, এত উৎসাহ-উদ্দীপনা আমি ঢাকা শহরে এর আগে কোনও খেলায় দেখিনি। আমার আজ খুবই ভালো লাগছে।"
সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, "আমাদের ইচ্ছা রয়েছে এই ঢাকা মেয়র কাপের কলেবর আরও বৃদ্ধি করার। আমরা মেয়েদের ব্যাডমিন্টন শুরু করতে চাই। পাশাপাশি বাস্কেটবলও শুরু করতে চাই। ইনশাল্লাহ, আগামী বছর থেকে সেটা আমরা শুরু করতে পারবো।" ঢাকা মেয়র কাপ ঢাকাবাসীর অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, "ইতোমধ্যে অনেকগুলো নতুন নতুন খেলার মাঠ প্রতিষ্ঠা করেছি। ফলে ঢাকা শহরের ক্রীড়াঙ্গনে আমরা আমাদের সন্তানদের মনোযোগ ও আকর্ষণ ফিরিয়ে আনতে পেরেছি। এটা আরও উচ্চতর পর্যায়ে যাবে। আগামী দিনে আমরা আরও ভালো কাজ করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।”
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ২১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আসাদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. আওলাদ হোসেন, ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মশিউর রহমান মোল্লা সজল বক্তব্য রাখেন।