অভিযান শেষ পর্যন্ত সার্থক হয়েছে। আজ (শনিবার) বিকেলে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং এলাকা থেকে সেই বিলাসবহুল রেঞ্জ রোভার গাড়িটি আটক করেছেন শুল্ক গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টায় নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট রোডের খিলক্ষেতের চার তারকা হোটেল 'ঢাকা রিজেন্সি'তে শুল্ক গোয়েন্দা দল গাড়িটি আটকের জন্য অভিযান চালিয়েছিল । কিন্তু টের পেয়ে গাড়িটি পালিয়ে যায়। শনিবার সন্ধ্যায় গাড়িটি আটকের কথা বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের মহা পরিচালক ড. মইনুল খান।
ড. মঈনুল খান জানান, শুক্রবারও শহরের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে গাড়িটি খোঁজা হয়। তল্লাশির এক পর্যায়ে বসুন্ধরার অ্যাপোলো হাসপাতালের পার্কিং এলাকায় রেঞ্জ রোভার গাড়িটির সন্ধান পাওয়া যায়। শুল্ক গোয়েন্দা দল শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টায় হাসপাতালের পার্কিং এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করে। তবে এসময় গাড়িটিতে লাগানো এমপি স্টিকার পাওয়া যায়নি। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে স্টিকার খুলে ফেলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের ভেতরেই আলোচনার মাধ্যমে সংকট সমাধানের আহ্বান খালেদার
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অ্যাপোলো হাসপাতালে ফেলে যাওয়া গাড়িতে নম্বর প্লেটও পরিবর্তন করা হয়েছে। আগের নম্বর ছিল ঢাকা মেট্রো শ ০০-০১৫১। সেটা বদল করে নম্বর বসানো হয়েছে ৫০৩। যদিও হাসপাতালের পার্কিং রেজিস্টারে এন্ট্রি আছে আগের নম্বরটি। এর থেকে বুঝা যায়, এটিই সেই ধাওয়া করা এমপি মনোগ্রামযুক্ত গাড়ি। এই গাড়িটি গত বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা রিজেন্সি হোটেলের পার্কিং এ লুকানো ছিল। ওই রাতে গাড়ি না পেয়ে হোটেলের বারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
গাড়িটিতে সংসদ সদস্যের মনোগ্রাম থাকায় প্রশ্ন উঠেছে, সংসদ সদস্যের পদ মর্যাদার অপব্যবহার করে কেউ গাড়িটি অন্য কোনও অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারেন। হোটেল কর্তপক্ষকে এজন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। গাড়িটি কারনেট সুবিধায় শুল্কমুক্ত হিসেবে আনা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এটি ফেরত যায়নি। বিলাসবহুল এই গাড়িটির দাম প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। এ বিষয়ে আরো গভীর অনুসন্ধান চলছে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
জেইউ/ এপিএইচ/