চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বন্যার পানিতে ডুবে দেশের ২১ জেলায় ১০৭ জন মানুষ মারা গেছে। বেশিরভাগই শিশু। গত ৪৮ ঘণ্টায় মারা গেছে ২৪টি শিশু। বুধবার ( ১৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘বন্যা মোকাবিলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। ওষুধ, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইনসহ সবকিছুই রয়েছে।’
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ও অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. এনায়েতুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘২১টি জেলা ও উপজেলায় ৪৫টি উপজেলায় ১৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ১ হাজার ৮২৪টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।’
পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার বিষয়ে অ্যাওয়ারনেস বিল্ডিং হলো সবচেয়ে বড় জিনিস উল্লেখ করে এনায়েতুর রহমান বলেন, ‘মা-বাবা যদি সচেতন না থাকেন, তাহলে এটা আটকানো খুব কঠিন। এর মধ্যে পাঁচ বছরের নিচে যেসব বাচ্চারা রয়েছে, তারা বাড়ির আশেপাশে খেলতে গিয়ে অনেক সময় পানিতে পড়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের সতর্ক করার চেষ্টা করছি। শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে স্বাস্থ্যকর্মীরা সচেতনতামূলক প্রচারণা জানাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘শিশুরা যেন পানিতে যেতে না পারে সে জন্য তারা মাইকিং করছে এবং শিশুদের কোমরে ঘুঙুর বেঁধে দিচ্ছেন, যেন শিশুরা বাড়ির বড়দের নজরে থাকতে পারেন।’ এই মুহূর্তে বন্যাজনিত কারণে কোনও অসুখে কারও মৃত্যুর খবর আমরা এখনও পাইনি বলে তিনি।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক টেলি-কনফারেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার সিভিল সার্জনদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা জানান, শিশুদের অধিকাংশই মারা যাচ্ছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টার মধ্যে। কারণ, পরিবারের পুরুষ সদস্যরা এ সময় বাইরে আর নারীরা ঘরের কাজে ব্যস্ত থাকেন। বাড়ির বাইরে খেলতে গিয়ে শিশুরা পানিতে পড়ে যাচ্ছে।
জেএ/এমএনএইচ/