রাজধানীর রমনা থানার কাকরাইলে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের বিপরীত দিকের একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা মা-ছেলের লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতদের ময়নাতদন্ত করা হয়।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নিজ বাসা থেকে শামসুন্নাহার করিম (৪৫) ও তার ছেলে শাওনের (১৯) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কারা কী কারণে তাদের হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি।
নিহতদের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ঢামেক হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ ময়নাতদন্ত শেষে জানান, মা-ছেলে ছুরিকাঘাতেই নিহত হয়েছে। দু’জনের শরীরে একাধিক ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে মায়ের চেয়ে ছেলের শরীরে বেশি জখম রয়েছে।
তিনি আরও জানান, মায়ের বুকের ওপরে একটি ছুরির আঘাত ছিলো, যা ফুসফুসে আঘাত হেনেছে। আর ছেলের বুকের দুইপাশেই ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। দু’টি আঘাতই ফুসফুস ভেদ করে গেছে। এরকম একটি আঘাতে যে কারও মৃত্যু হতে পারে।
ময়নাতদন্ত শেষে নিহতদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ভগ্নিপতি মো. জসীম উদ্দীন জানান, নিহতদের লাশ এখন বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। নিহত শামসুন্নাহারের বড় দুই ছেলে দেশের বাইরে থাকেন। তার দেশে ফেরার পর লাশ দাফনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মা-ছেলে খুন