বেলা তিনটার পর থেকে বনানীর এফ আর টাওয়ারের ভেতরে আগুনে আটকে পড়াদের একে একে উদ্ধার করে আনা হচ্ছে। তাদের বেশির ভাগ ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। চিকিৎসার জন্য তাদের রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। তাদের বের করে আনার সময় অপেক্ষমাণ স্বজনদের আহাজারি করতে দেখা যাচ্ছে। ভবনের আশেপাশে এখনও যাওয়া যাচ্ছে না। আগুনের খবর শুনে স্বজনরা এসে উপস্থিত হয়েছেন ঘটনাস্থলে। তাদের সঙ্গে ভেতরে আটকে পড়া স্বজনদের কথা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে আহাজারি করা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘তার ছেলে ফাহাদ ইবনে কবীর এই ভবনে কাজ করতো। ছেলে ফোন করে তাকে জানায়- আগুনের ধোঁয়ায় তার নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে। এরপর আর কথা হয়নি তার সঙ্গে।’ এদিকে এগারো তলায় এখনও আটকে পড়াদের কাউকে কাউকে দেখা যাচ্ছে। তারা দু হাত নেড়ে উদ্ধারের আকুতি জানাচ্ছেন।
ধোঁয়ার কারণে আটকে পড়াদের উদ্ধার কাজ বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী মোস্তাফিজ। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের ক্রেন লেডার (যন্ত্রচালিত মই) নিয়ে আটকে পড়াদের কাছে যেতে সমস্যা হচ্ছে। প্রচণ্ড ধোঁয়ায় সামনে যাওয়া যাচ্ছে না। এখনও ভেতরে আটকে পড়া অনেককে হাত বাড়িয়ে সাহায্য চাইতে দেখা যাচ্ছে। আমরা চারটি লেডার নিয়ে কাজ করছি।
আরও পড়ুন:
দোতলা থেকে লাফ দেন শ্রীলঙ্কান নাগরিক ইন্ডিকা মারসিলিং
বনানীর আগুন নেভাতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার