ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়। রবিবার (২০ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১-এর ডিএডি মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) মিজানুর রহমান ভুঁইয়া।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে কাউন্সিলর রাজীবকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আফতাব উদ্দিন রোডে তার বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাসা থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় ভাটারা থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর তাকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
এর আগে, শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাতে রাজীবকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় তার বন্ধুর বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয। এ সময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানীতে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর গডফাদারসহ ১৮ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরমধ্যে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাট, যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, যুবলীগ নেতা জি কে শামীমসহ অনেকের বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।
এছাড়া, বিভিন্ন ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২০১ জনকে আর্থিক জরিমানাসহ বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যেই বিভিন্ন এলাকার সিটি করপোরেশন এলাকার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল, চাঁদাবাজি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। কাউন্সিলরদের কেউ কেউ সরাসরি ক্যাসিনোর সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অভিযানের পরপরই অনেকেই পালিয়ে দেশ ছেড়ে গেছেন। মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবও গত দুই সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।