রাজধানীর উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। ভোট দিয়ে বেরিয়ে এই কেন্দ্রের এক নারী ভোটার জানান, ভোটার নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন সবাই।
দেখা গেছে, এই কেন্দ্রে পাঁচটি বুথ করা হয়েছে। মোট ভোটার ১ হাজার ৬৮৪ জন। এই পাঁচটি বুথ ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রে ভোটার রয়েছেন দুই-একজন।
বিএনপির পোলিং এজেন্ট নেই
বিএনপির পক্ষের পোলিং এজেন্টদের চোখে পড়েনি এই কেন্দ্রে। ২ নম্বর বুথে ভোটার সংখা ২৯১ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত এই বুথে ভোট দিয়েছেন ১১ জন। ভোটার না থাকায় বারান্দায় রোদ পোহাচ্ছেন পোলিং কর্মকর্তারা।
ভোটকেন্দ্রের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার সাধন কুমার বলেন, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ১ শতাংশও নেই। একেবারেই উপস্থিতি নেই।
এই কেন্দ্রের নারী ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সালমা পারভীন নামের একজন ভোটার বলেন, ‘ভোট দেওয়ার সিস্টেম আমাদের জন্য সহজ, কিন্তু যারা লেখাপড়া জানেন না তারা এটা দিতে পারবেন না। ভোটার নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন সবাই।’
এই কেন্দ্রে সকাল ১০টা ২৩ মিনিটে স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দিতে আসেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সিস্টেমের ভেতর কোনও গোলমাল নেই। খুবই ভালো সিস্টেম।’
এই ভোটকেন্দ্রে তিনটি বুথে পুরুষ ও দুটি বুথে নারীদের ভোট নেওয়া হচ্ছে। ১ নম্বর বুথে মোট ভোটার ২৯২টি। এর মধ্যে ভোট পড়েছে ১৭টি। ২ নম্বর বুথে মোট ভোটার ২৯২টি। ভোট দিয়েছেন ৮ জন। ৩ নম্বর বুথে ২৯১টি ভোটের মধ্যে ১২ জনের ভোট পড়েছে। ৪ নম্বর বুথে ৪০৫ ভোটের মধ্যে ৫ জন ভোট দিয়েছেন। এছাড়া ৫ নম্বর বুথে ৪০৪ ভোটারের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৬টি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভোটার বলেন, ‘পেঁয়াজের কেজি ১৬০ টাকা। ভোট দিলে তো তা কমে ৬০ টাকা হবে না। ভোট দিয়ে লাভ কী?’
৩ নম্বর বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার নিত্যনন্দ গায়েন বলেন, ‘১১টা বেজে গেছে। অথচ ভোটার নাই। আগে শুনতাম ভোটের দিন একটা উৎসব। কিন্তু আজকে মনে হয় ঢাকার মানুষ সবাই ঘুমাচ্ছে।’