X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

শিশুদের পদচারণায় মুখর শিশুপ্রহর

সিরাজুল ইসলাম রুবেল
০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:১৭আপডেট : ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৩৪

শিশু চত্বরে হালুম, টুকটুকিদের সঙ্গে শিশুরা ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে বাবা আনোয়ারুল আলমের হাত ধরে একুশে বই মেলায় এসেছে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু সিদরাতুল মোন্তাহা এবং সাড়ে তিন বছরের শিশু জান্নাত। দুজনেই এবারের বই মেলায় প্রথম। শিশুপ্রহরে মোন্তাহার আবদারে তাকে ‘খোকা মিয়া ও গাইড হালুম’ বইটি কিনে দিয়েছেন বাবা। তবে জান্নাতের কোনও চাওয়া নেই; হালুম, ইকরি আর টুকটুকিদের নাচ আর কথা শুনেই মহাখুশি সে।

একুশে বই মেলায় শিশুদের মূল আকর্ষণ এই শিশুপ্রহর। মূলত শিশুদের বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতেই মেলার একটি অংশকে ঘোষণা করা হয় শিশুপ্রহর হিসেবে। শুক্রবার ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শিশুপ্রহর। সেই অনুযায়ী, আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণের শিশু চত্বর নান্দনিক করে সাজানো হয়।
একটি শিশু আরেকটি শিশুকে বই দেখাচ্ছে শিশু চত্বরের স্টলগুলোতে শিশুদের বই রাখা হয়েছে। সেখানে চলন্তিকা বইঘর, শিশু প্রকাশ, শৈশব, চিলড্রেনস বুক, সিসিমপুর ইত্যাদি স্টল রয়েছে; যেগুলোতে রয়েছে শিশুদের বই।
আয়োজনের মধ্যে শিশুদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল সিসিমপুরের চরিত্রগুলো। শিশুদের আনন্দ দিতে স্টেজে হাজির হয় হালুম, ইকরি ও টুকটুকিরা। তাদের মুখেও বই পড়ার বাণী শোনে শিশুরা।
শিশু চত্বরে শিশুরা মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই অভিভাবকদের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে আসতে থাকে শিশুরা। বইয়ের রাজ্যে এসে মহাখুশি তারা। অভিভাকরাও শিশুদের নিয়ে সিসিমপুরের চরিত্র দেখাতে শিশু চত্বরে ভিড় করেন। সেখানে তৈরি স্টেজে উঠে অনেক শিশু নাচানাচি শুরু করে। আবার কেউ কেউ বাবা-মায়ের কাছে দাঁড়িয়ে দূর থেকে হালুম, টুকটুকিদের নাচ উপভোগ করে।
দুপুর পৌনে ১২টার দিকে স্টেজ দখল করে নেয় হালুম, ইকরি ও টুকটুকিরা। সিসিমপুরের এই চরিত্রগুলো দেখে শিশুরা উচ্ছ্বসিত। হালুম, ইকরি ও টুকটুকিরা গানের মধ্য দিয়ে শিশুদের বই পড়ার উপদেশ দেয়। হালিম, টুকটুকিরা ‘আমরা বই পড়তে ভালোবাসি’ বলতে শুরু করলে, শিশুরাও তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মেলায়।
বই দেখছে একটি শিশু টুকটুকি, হালুমদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনে শিশুরা। এ সময় স্টেজের চারপাশে ভিড় জমে যায়। অনেক শিশু হালুমদের দেখতে না পারায় অভিভাবকরা তাদের ঘাড়ে তুলে উঁচু করে দেখায়।
বাবা রায়হান শহীদের ঘাড়ে বসে সিসিমের মজাদার দৃশ্য উপভোগ করতে দেখা যায় দেড় বছরের শিশু রাফানকে। তার বাবা জানান, রাফান এই প্রথম বই মেলায় এসে বেশ খুশি।
হালুম, টুকটুকিদের সঙ্গে শিশুরা শিশুপ্রহরের আয়োজনগুলো দেখতে স্টেজের দায়িত্বে রয়েছেন কয়েকজন। তারা শিশুদের বিভিন্ন গল্প, কবিতা শুনিয়ে প্রাণবন্ত রাখেন। তাদের গায়ে রয়েছে লাল রঙের টি-শার্ট। জানতে চাইলে তাদের একজন জানান, শিশুদের আনন্দ দিতে তারা সার্বক্ষণিক দায়িত্বে রয়েছেন। আরেক জন এনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সিসিমপুরের চরিত্রগুলো প্রতি শুক্র ও শনিবার বেলা সাড়ে ১১টা, সাড়ে ৩টা এবং সন্ধ্যা ৬টায় দেখানো হবে।’
শুক্রবার সিসিমের চরিত্রের দৃশ্য পনেরো মিনিট দেখানো হয়েছে। ফলে অনেক শিশু তা বেশি সময় ধরে উপভোগ করতে পারেনি বলে অভিভাবকদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন। তবে এ বিষয়ে এনামুল জানান, প্রথম দিন বলে বেশি সময় দেখানো হয়নি। অন্য দিন সময় বাড়ানো হবে।
শিশুপ্রহরে একটি স্টলে বই দেখছে দুই শিশু এদিকে, মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের জন্য ছিল বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। হালুম, টুকটুকিরা স্টেজে আসার আগেই পুলিশের একটি টিম সেখানে অবস্থান নেয়। জানতে চাইলে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবীন্দ্রনাথ বর্মন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিশুদের নিরাপত্তা দিতে এখানে আমরা আট সদস্যের একটি টিম রয়েছি।’

ছবি: নাসিরুল ইসলাম

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
সড়কে প্রাণ গেলো মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলের
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চান রাশেদুল মাজিদ
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
আগুন নেভাতে ‘দেরি করে আসায়’ ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা, দুই কর্মী আহত
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা