পুলিশের আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ‘ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে কোনও গোষ্ঠী যাতে গুজব ছড়িয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেই জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গোয়েন্দা নজরদারি ও মনিটরিং বাড়ানো হবে। জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা সম্পর্কে সবসময় সতর্ক ও তৎপর থাকতে হবে পুলিশকে। নিয়মিত গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে হবে।’
বুধবার (১৫ জুলাই) বিকালে পুলিশ সদর দফতর থেকে ঈদ উপলক্ষে পুলিশের সকল ইউনিট প্রধানের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত এক ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঈদকে কেন্দ্র করে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ পার্ক এবং টুরিস্ট স্পটসমূহে জনসমাগম না করার জন্য জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান আইজিপি। তিনি বলেন, ‘সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি পালন করে পশুর হাটে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে হবে। সম্ভব হলে ইজারাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে পশুর হাটের প্রবেশপথে জীবাণুনাশক চেম্বার স্থাপন করা যায়। পশুর হাটে জালনোট বন্ধে পুলিশি তৎপরতা বাড়াতে হবে। ব্যবসায়ীরা যাতে অতিরিক্ত হাসিল আদায় করতে না পারে, সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে হবে।’
কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের চাঁদাবাজি ও অরাজকতা বরদাশত করা হবে না জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘চামড়া পাচার রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।’
পুলিশ প্রধান বর্তমান করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ফোর্সের দায়িত্ব বন্টনের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘পুলিশে করোনা সংক্রমণের হার শূন্যে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। কোভিড-১৯ মহামারী প্রতিরোধ বিষয়ক হ্যান্ডবুক প্রত্যেক পুলিশ সদস্যের কাছে পাঠানো হয়েছি। পুলিশ সদস্যদেরকে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী দেওয়া হয়েছে। করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
দুর্নীতি ও মাদকাসক্ত প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ‘আমরা দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত পুলিশ গড়তে চাই। ইতোমধ্যে এই বিষয়ে ৬৬০ থানার অফিসার ইনচার্জকে মাদক ও দুর্নীতি বন্ধে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কোনও পুলিশ সদস্য মাদকাসক্ত সন্দেহ হলে তার ডোপ টেস্ট করান।’
সভায় আগামী মাসে জাতীয় শোক দিবস, পবিত্র আশুরা এবং শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আইজিপি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানান পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সোহেল রানা।