প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বাদ আসর রাজধানীর বেইলি রোডে অ্যাটর্নি জেনারেলের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত কুলখানিতে উপস্থিত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বলেন, ‘মাহবুবে আলমের মৃত্যু অনেক কষ্টের। তার মৃত্যু আইন ও বিচারাঙ্গনের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘মাহবুবে আলমের নম্রতা, ভদ্রতা ছিল সবার জন্য অনুকরণীয়। কখনও তিনি মেজাজ খারাপ করেননি।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেন, ‘দায়িত্ব পালনে সততা ও নিষ্ঠার কারণে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে বিভিন্ন মামলার শুনানিতে তিনি সরকারকে ডিফেন্ড করতেন। কাউকে ছাড় দিতেন না। সংবিধান সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় মাহবুবে আলমের যুক্তি-তর্ক তাকে অমরত্ব দেবে। ’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘তিনি সাদামাটা ও ভালো মানুষ ছিলেন। সবসময় হাস্যোজ্জ্বল থাকতেন। তার ছিল ধৈর্য্য ও পেশাদারিত্ব। মামলা শেষে আদালত থেকে বের হয়ে হাত ধরে সুন্দর করে কথা বলতেন।’
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী মাহবুব আলী, হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন প্রমুখ।
কুলখানিতে প্রয়াত মাহবুবে আলমের পরিবারের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতির, অতিরিক্ত, ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলসহ সুপ্রিম কোর্টের অসংখ্য আইনজীবী এসময় উপস্থিত ছিলেন।