X
সোমবার, ২০ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

শ্রেণি পাঠদানে বেসরকারি উদ্যোগে টেলি-মেন্টরিং প্রকল্প

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৪ অক্টোবর ২০২০, ২৩:১৩আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২০, ২৩:১৮

 

শ্রেণি পাঠদানে বেসরকারি উদ্যোগে টেলি-মেন্টরিং প্রকল্প বেসিক মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঠদানের সম্ভাব্যতা ও কার্যকারিতা নিরূপণে অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাঁচটি উপজেলায় টেলি-মেন্টরিং প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

গবেষণা প্রকল্পের প্রধান মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আসাদ ইসলাম এ তথ্য জানান। মাঠ পর্যায়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করছে গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ (জিডিআরআই) নামের একটি বেসরকারি সংস্থা।

সম্প্রতি শুরু হওয়া এই প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শতাধিক সেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থী প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়া চার শতাধিক শিশুকে সাপ্তাহিক পাঠদান করছে। মোট ১৩ সপ্তাহ ধরে এই পাঠদান কার্যক্রম চলবে।

গবেষণা প্রকল্পের প্রধান  অধ্যাপক আসাদ ইসলাম জানান, প্রকল্পটি সমন্বয় করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসিবুল হাসান। জাতীয় দুর্যোগ বিবেচনায় ও তা মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগকে ত্বরান্বিত করতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা ও পাঠদানের উপকরণ যেকোনও প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির জন্য উন্মুক্ত। এ সংক্রান্ত যেকোনও তথ্যের প্রয়োজনে ও তা পেতে গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যেতে পারে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, টেলি-মেন্টরিং বা টেলি-টিউটরিংয়ের আওতায় মেন্টর বা টিউটররা শিশুদেরকে সরকারি পাঠক্রমের অধ্যায়গুলোর সমাধান করে দেয়। তাছাড়া, বাবা-মায়েদেরকে সন্তানের পড়ালেখায় অধিক অংশগ্রহণে উৎসাহিত করে, বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয় ও সন্তান লালন-পালনে বিভিন্ন ধরনের বিশ্বাস বা মতামত নিয়ে কথা বলে।

এই পাঠদান শুরু করার আগে সেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদেরকে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও সেবা দিতে নির্দেশিকা করা হয়েছে। পাঠদান পর্বের শেষে আগামী জানুয়ারি মাসে বিভিন্ন জরিপ ও পরীক্ষার মাধ্যমে অংশ নেওয়া শিশুদের জ্ঞানীয় ও অজ্ঞানীয় বিকাশ নিরূপণ করা হবে। প্রকল্পটির কার্যকারিতা নির্ণয়ে র‍্যান্ডমাইজড ট্রায়াল পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ইতোমধ্যে সোশ্যাল সায়েন্স রেজিস্ট্রিতে নিবন্ধিত।

প্রসঙ্গত, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা ও সংক্রমণ রোধে গত ১৭ মার্চ থেকে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ সময় অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে। স্কুল বন্ধের শুরু থেকেই সরকার জাতীয় পর্যায়ে টেলিভিশনের মাধ্যমে বিভিন্ন শ্রেণির ধারণ করা পাঠদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ১২ আগস্ট থেকে রেডিও সেবাকেও দূর-শিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নানা রকম কৌশলে স্কুল বা কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান সম্ভব। যেমন শ্রেণিভিত্তিক বিষয়ের অধ্যায়গুলোর লেকচার ধারণ করে তা টোল-ফ্রি নম্বরের মাধ্যমে বিতরণ করা যেতে পারে। তাছাড়া বট-কলিং বা মেসেজিং এর মাধ্যমে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে বিভিন্ন উপদেশ, পরামর্শ বা শিক্ষা সংক্রান্ত সমাধান দেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের কৃত্রিম বা যান্ত্রিক উপায় ছাড়াও দেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তঃযোগাযোগে স্থাপনেও মোবাইল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের সংযোগ ঘটিয়ে টেলি-টিউটরিং বা পাঠদানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। সরকারের টেলি-মেডিসিন সেবা বিতরণ ব্যবস্থায় এই ধরনের উদ্যোগ ইতোমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে।

 

/এসএমএ/ এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: উদ্ধারে বাধা প্রতিকূল আবহাওয়া
ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: উদ্ধারে বাধা প্রতিকূল আবহাওয়া
সর্বাধিক পঠিত
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
শনিবার ক্লাস চলবে ডাবল শিফটের স্কুলে
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
হিমায়িত মাংস আমদানিতে নীতিমালা হচ্ছে
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
এনবিআর চেয়ারম্যানকে আদালত অবমাননার নোটিশ
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ
আগামী ৩ দিন হতে পারে বৃষ্টি, কমবে তাপপ্রবাহ