ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তিন দিন আগে স্ত্রী শাহিনুরকে ভর্তি করান স্বামী ইয়াসিন মোল্লা। ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া শাহিনুর শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যাসন্তান প্রসব করেন। তবে জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
মৃত্যুর সনদে চিকিৎসকরা জানান, নবজাতকটি মৃত অবস্থাই জন্ম নিয়েছেন। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিন দাফনের জন্য আজিমপুর কবরস্থানে নিয়ে যান। কবরস্থানের লোকজন দাফন কাফন বাবদ এক হাজার ৪শ’ টাকা দাবি করে। তার কাছে টাকা না থাকায় নবজাতককে বসিলা কবরস্থানে নিয়ে যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর হঠাৎ নবজাতকটি নড়ে ওঠে। পরে দ্রুত আবার তাকে ঢামেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি বলেন, ‘নবজাতকটিকে এখন নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে নবজাতকটির বাবা ইয়াসিন বলেন, ‘এটা আমার দ্বিতীয় সন্তান। এর আগে ইসরাত জাহান (১০) নামে আরেক কন্যাসন্তান রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বেঁচে যাওয়া সন্তান বর্তমানে নবজাতক ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আপনারা তার জন্য দোয়া করবেন। চিকিৎসকরা যে মৃত্যুর সনদ দিয়েছিল তা আবার ফেরত নিয়েছেন।’
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘নবজাতকটি জীবিত আছে। তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে। সে সুস্থ আছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি করবো। তদন্ত করে বের করার চেষ্টা করবো কেন এমনটি হয়েছে।’
পরিবারটির বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালঙ্গা গ্রামে। স্ত্রী শাহিনুর গৃহিণী, স্বামী ইয়াসিন মোল্লা বিআরটিসির বাসচালক।