একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাদের নিয়মিত বিচারিক কার্যক্রম শুরু করেছে।
বুধবার (২৮ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়। এর ফলে দেশের সব আদালতের মতো ট্রাইব্যুনালও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর করোনার মধ্যে ট্রাইব্যুনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এপিবিএনের ২২ জন সদস্য ও কয়েকজন প্রসিকিউটর করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।’
জেয়াদ আল মালুম আরও বলেন, ‘ট্রাইব্যুনাল একটি বিশেষ আইন দিয়ে গঠিত। সরকার আদালতে প্রযুক্তি ব্যবহারের আইন করায় ট্রাইব্যুনালও সেই সুবিধা পেতে শুরু করে। তাই করোনার মধ্যেও বিভিন্ন সময়ে ট্রাইব্যুনাল স্বল্প সময়ের জন্য পরিচালিত হয়। তবে এখন থেকে ট্রাইব্যুনালের নিয়মিত কার্যক্রম চলবে।’
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির মাঝেও দীর্ঘদিন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে বিচার কার্যক্রম চলার পর গত ৫ আগস্ট থেকে দেশের সব অধস্তন আদালতে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনার ঘোষণা দেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। এরপর থেকে দেশের সব অধস্তন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে শুরু হয়।
পাশাপাশি গত ১০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে শারীরিক উপস্থিতিতির মাধ্যমে ১৮টি বেঞ্চে বিচার কাজ শুরুর বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এছাড়াও করোনা বিবেচনায় শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতেও হাইকোর্টের ৩৫টি বেঞ্চে বিচারকাজ পরিচালনার ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে নিরাপত্তা সদস্য ও প্রসিকিউটররা করোনা আক্রান্ত থাকায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা সত্ত্বেও বিরতি দিয়ে নিয়মিত বিচার কার্যক্রমে ফিরেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।