X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৮ বছর পর গোল্ডেন মনিরের চার্জশিট অনুমোদন

নুরুজ্জামান লাবু
০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:২৭আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৩১

র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার গোল্ডেন মনির দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় আট বছর পর মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের চার্জশিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন মৃধার প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) কমিশন এই মামলার অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়। শিগগিরই বিচারিক আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে বলে দুদক সূত্র জানিয়েছে।

দুদকের সিনিয়র সচিব দিলোয়ার বখত জানান, মনিরের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে একটি মামলা হয়েছিল। সেই মামলার অভিযোগপত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন করে তার বিরুদ্ধে আরও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।

দুদক সূত্র জানায়, ২০১২ সালে দুদক প্রথম গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে। তাতে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তার তিন কোটি ১০ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে এই মামলার বিরুদ্ধে মনির উচ্চ আদালতে রিট করলে তদন্ত কাজ স্থগিত থাকে। ২০১৮ সালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হলে আবারও মামলার তদন্ত শুরু করে দুদক। তদন্তে গোল্ডেন মনিরের ওই টাকার কোনও বৈধ উৎস খুঁজে না পাওয়ায় অভিযোগপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন।

প্রসঙ্গত, দুর্নীতি ও জালিয়াতি করে বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ২০ নভেম্বর রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় গোল্ডেন মনিরের বিলাসবহুল বাসায় অভিযান চালায় এলিট ফোর্স র‌্যাব। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণালঙ্কার, অবৈধ অস্ত্র ও মাদকসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়।

বর্তমানে তাকে ১৮ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি। এরপরই গোল্ডেন মনিরের বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশনও নতুন করে তার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান শুরু করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, গোল্ডেন মনির সঙ্গে রাজউক ও গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সখ্যতা থাকায় যৌথভাবে তারা জালিয়াতি করে বিপুল অবৈধ অর্থের মালিক হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই কারণে প্রাথমিকভাবে গত মঙ্গলবার (১ ডিসেম্বর) মনিরের দুর্নীতির সূত্র ধরে রাজউকের পরিচালক শেখ শাহিনুল ইসলাম, রাজউকের সিবিএ নেতা আব্দুল জলিল আকন্দ, নিম্নমান সহকারী মো. ওবায়দুল্লাহ ও উচ্চমান সহকারী আব্দুল মালেক, গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী প্রদীপ বসু, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম ওরফে সোনা শফিক এবং বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর এম এ কাউয়ুমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে। আগামী ৮ থেকে ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

/এনএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
কুমিল্লা শিক্ষা প্রকৌশল কার্যালয়ে ঠিকাদারকে মারধর২৫ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কেউ, পুলিশ বলছে সিসিটিভির ফুটেজ পায়নি
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
উপজেলা নির্বাচন: অংশ নিতে পারবেন না পৌর এলাকার ভোটার এবং প্রার্থীরা
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোট শুরু
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ