এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে হাড্ডা-হাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনার চিত্র উঠে এসেছে বাংলা ট্রিবিউনের জরিপে। সারাদেশের ৪৯৫০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ওপর চালানো জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ২৮.২৬ শতাংশ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ২৩.০৭ শতাংশ জানিয়েছে তারা ভোট দেবেন বিএনপিকে। আবার নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে বলেও মনে করেন ৩৮.৮৭ শতাংশ এবং বিএনপি জিতবে বলে মনে করেন ৩০.০৮ শতাংশ। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ৬০.০৮ শতাংশ মনে করেন বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না।
ভোটে জিতবে আওয়ামী লীগ, পিছিয়ে নেই বিএনপিও:
সারাদেশে জরিপে অংশগ্রহণকারী ৪৯৫০ জনের ওপর বাংলা ট্রিবিউনের জরিপে প্রশ্ন করা হয়, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে কোন দলকে ভোট দেবেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে ২৮.২৬ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিএনপিও খুব বেশি পিছিয়ে নেই। বিএনপিকে ভোট দেবে বলে জানিয়েছেন ২৩.০৭ শতাংশ মানুষ। এখানে লক্ষণীয় হলো, ৪১.৫৮ শতাংশ মানুষ কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে জিতবে আওয়ামী লীগ:
এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে কোন দল জয়ী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগ জিতবে বলে মনে করেন ৩৮.৮৭ শতাংশ এবং ৩০.০৮ শতাংশ মানুষ মনে করেন জিতবে বিএনপি। এক্ষেত্রেও মন্তব্য করতে রাজি হননি ২৬.৭১ শতাংশ।
এমনকি বিভাগীয় শহরগুলোতেও (ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর বাদে) এগিয়ে আছে আওয়ামী লীগ। জরিপে দেখা যায়, এই মুহূর্তে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে বলে মনে করছেন ৩৭.৪৩ শতাংশ মানুষ। অন্যদিকে বিএনপি জিতবে বলে মনে করছেন ২৯.১০ শতাংশ মানুষ। জাতীয় পার্টি জিতবে বলে মনে করছেন ২.৩৮ শতাংশ মানুষ।
বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে আস্থা নেই:
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের ৬০.০৮ শতাংশ মনে করেন বর্তমান সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। অন্যদিকে ৩৮.৫৫ শতাংশের মত বর্তমান সরকারের অধীনেই নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য প্রতিটি জেলায় ৫০ জন এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে (ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর বাদে) ৩০০ জনের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। সারাদেশে মোট ৪৯৫০ জনের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপ প্রক্রিয়া:
জরিপের সময়কাল: ১৭ জানুয়ারি-২৫ জানুয়ারি, ২০১৬
জরিপ পরিচালনা: বাংলা ট্রিবিউন
নমুনা (sample) সংগ্রহের প্রক্রিয়া:
১. প্রতি জেলায় ৫০ জন করে ৬৪টি জেলায় জরিপ চলানো হয়েছে।
২. ৭টি বিভাগীয় শহরের প্রতিটিতে ৩০০ জনের ওপর জরিপ করা হয়েছে (ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহর বাদে)।
৩. রাজধানী ঢাকায় ৩০০ জনের ওপর জরিপ পরিচালনা করা হয়।
৪. দৈবচয়ন (Random) প্রক্রিয়ায় প্রতি ১০ মিনিট অন্তর নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
৫. জরিপকারীরা একইস্থানে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।
৬. নমুনা সংগ্রহের জন্য জেলা/বিভাগের হাট-বাজার/শপিংমলকে স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
৭. জরিপে আয়ের প্রশ্নে ছাত্র ও গৃহিনীর ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের আয়-ব্যয় সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়।