X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ

ঢাবির বুকে বারো ভূঁইয়ার মসজিদ

আবিদ হাসান
২৪ মে ২০২১, ১০:০০আপডেট : ২৪ মে ২০২১, ১০:০০

বাংলাদেশের যে স্থাপনাশৈলী এখনও বিমোহিত করে চলেছে অগণিত মানুষকে, তার মধ্যে আছে দেশজুড়ে থাকা অগণিত নয়নাভিরাম মসজিদ। এ নিয়েই বাংলা ট্রিবিউন-এর ধারাবাহিক আয়োজন ‘বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ মসজিদ’। আজ থাকছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার মুসা খান মসজিদ।

মুঘল সম্রাট আকবরের আমলে বাংলার বারো শাসককে বলা হয় ‘বারো ভূঁইয়া’। আর তাদের আমলেই বাংলায় নির্মিত হয় চমৎকার সব স্থাপত্য। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হলের উত্তর-পশ্চিম কোণে এখনও দাঁড়িয়ে আছে মুসা খান মসজিদ।

ঢাবির বুকে বারো ভূঁইয়ার মসজিদ

কার্জন হলের চত্বরটি একসময় ‘বাগে-মুসা খান’ বা মুসা খানের বাগান নামেই পরিচিত ছিল।

বারো ভূঁইয়ার আমলের অন্যতম মসনদ-ই-আলা ঈশা খাঁর পুত্র মুসা খানের নামে মসজিদটির নামকরণ হয় বলে জানা যায়। অনুমান করা হয় মসজিদটি নির্মাণ করা হয় ১৬৭৯ সালে।

ইতিহাসবেত্তাদের মতে, নাম মুসা খান মসজিদ হলেও তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা নন। এর স্থাপত্যশৈলীর সঙ্গে শায়েস্তা খানের স্থাপত্যরীতির মিল পাওয়া যায়। সেখান থেকেই এমন ধারণা। শায়েস্তা খান ঢাকায় আসেন আরও পরে।

অধ্যাপক এম হাসান দানীর মতে, মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন মুসা খানের নাতি মনোয়ার খান। অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও আবুল কালাম মোহাম্মদ যাকারিয়াও তাঁর এই মতকে সমর্থন দেন।

ঢাবির বুকে বারো ভূঁইয়ার মসজিদ

মসজিদটি নির্মাণ করা হয় তিন মিটার উঁচু একটি ভল্ট প্লাটফর্মের ওপর। ভল্ট প্লাটফর্মটি ১৭ মিটার লম্বা ও ১৪ মিটার চওড়া। প্লাটফর্মের ওপর নির্মিত মসজিদটির নিচতলায় কয়েকটি কক্ষ রয়েছে। এগুলোতে আগে মসজিদ সংশ্লিষ্টরা বাস করলেও এখন সবই পরিত্যক্ত।

মসজিদটি একসময় একটি দেয়াল দিয়ে ঘেরাও করা ছিল। সেটারও এখন কোনও চিহ্ন নেই।

দক্ষিণের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয় মসজিদের দরজায়। পূর্বে খোলা বারান্দা আর চওড়া দেয়াল। পূর্ব-পশ্চিমের দেয়াল ১ দশমিক ৮১ মিটার ও উত্তর-দক্ষিণের দেয়াল ১ দশমিক ২ মিটার চওড়া।

পূর্বের দেয়ালে তিনটি ও উত্তর-দক্ষিণে দুটি খিলান দরজা আছে। ভেতরে পশ্চিম দেয়ালের মধ্যে একটি প্রধান ও পাশে দুটি ছোট মেহরাব।

ঢাবির বুকে বারো ভূঁইয়ার মসজিদ

চারপাশের দেয়ালে মুঘলরীতির নকশা। বাইরের দেয়ালের চার কোণে চারটি মিনারখচিত আটকোণা বুরুজ। পাশে ছোট ছোট মিনার। বুরুজ ও ছোট মিনার ১৬টি। উপরের কার্নিশ নকশাখচিত।

মসজিদটির বাইরের দেয়ালে শ্যাওলা পড়ে গেলেও এখনও বারো ভূঁইয়াদের গৌরবের স্মৃতি হয়ে আছে ঐতিহাসিক স্থাপনাটি।

ছবি: সাজ্জাদ হোসেন

/এফএ/এনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
‘দাবদাহের মধ্যে কষ্ট হলেও মানুষ ভোট দিতে আসবে’
ইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
প্রয়াণ দিনে স্মরণইরফান খান: জীবনের মোড় ঘুরেছিল ২০০ রুপির অভাবে!
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসছে সরকার
ভুটানে আবার কোচ হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ
ভুটানে আবার কোচ হয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ
সর্বাধিক পঠিত
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
থেমে যেতে পারে ব্যাংকের একীভূত প্রক্রিয়া
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড
ভেসে আসা ‘টর্পেডো’ উদ্ধারে কাজ করছে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড