X
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪
১৬ বৈশাখ ১৪৩১

সিইসি সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তি: মির্জা ফখরুল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:০৯আপডেট : ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৮:১৭

 

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর (ফাইল ছবি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সকালে এক কথা বলেন, বিকেলে আরেক কথা বলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সচিবের কথা শুনলে মনে হয়, তিনিই প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তা। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে মনে হয়, সবচেয়ে অসহায় ব্যক্তি।’ শনিবার (২০ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের’ দাবিতে সমাবেশের আয়োজন করেন জাতীয় গণতান্ত্রিত পার্টি (জাগপা)।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই ইসির অধীনে কীভাবে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? আমরা ইসিতে গিয়ে বলেছিলাম, নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করুন। আলোচনা করে, কীভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা যায়, সেই ব্যবস্থা করুন। সিইসি বলেন তার কোনও এখতিয়ার নেই। সিইসির এখতিয়ারটা কী? আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়ে দেওয়া তার (সিইসি) এখতিয়ার?’

নির্বাচন কমিশন বিভক্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একজন কমিশনার প্রকাশ্যে বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তার দেওয়া প্রস্তাবগুলো বিবেচনা করা হচ্ছে না। আরেকজন কমিশনার তার প্রস্তাবকে অসাংবিধানিক বলেছেন।’

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সংলাপের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকারের বলবো, বিরোধী দলের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ বের করুন। এছাড়া কোনও বিকল্প পথ নেই।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কিন্তু একটিই থাকতে হবে। কিন্তু এখানে (ইসি) যে সংকটের সৃষ্টি হয়েছে, এই সংকটটাই হচ্ছে রাষ্ট্রের সংকট। সরকার ইসিকে দিয়ে ৫ জানুয়ারির মতো নির্বাচন করতে চায়। ইসি এই দায়িত্ব পালন করতে পারে না। যদি করে, তাহলে তারা সংবিধানের বিরুদ্ধে কাজ করবে, জনগণের কাছে যে শপথ নিয়েছে, সেই শপথের বাইরে চলে যাবে। নিঃসন্দেহে একটি অপরাধ হবে, সেটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ।’

বিএনপি যথেষ্ট সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কারণ আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। আমরা চায় করি, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতার পরিবর্তন হোক। আর মানুষ পরিবর্তন চায়। খালেদা জিয়াকে জেলে আটকে রেখে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন, এই নির্বাচন হবে না। মানুষ মেনে নেবে না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ২৩ তারিখ জনসভা করতে চাইলে সরকার নাশকতার কথা বলে অনুমতি দেয়নি। অথচ চরমোনাই পীরকে সভায় অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আজকে রাস্তাঘাট বন্ধ করে সরকারি টাকায় গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে এসে জাতীয় পার্টি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করছে। সেখানে নাশকতা নেই। বিরোধী দল কথা বলতে গেলে নাশকতা হয়। ডা. জাফরুল্লাহর মতো লোক নাশকতা করতে চায়? এসব বাদ দিয়ে সোজা পথে আসুন।’

আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি তাসমিয়া প্রধানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, জাগপার সহসভাপতি আবু মোজাফফর মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর প্রমুখ।

/এএইচআর/এমএনএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
মাড় ফেলে ভাত রান্না হলে ‘১৫ ভাগ অপচয় হয়’
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
শরীরের তাপ কমায় এই ৮ খাবার
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
বন ও বনভূমি রক্ষায় কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
মোনাকোর হারে লিগ ওয়ান চ্যাম্পিয়ন পিএসজি
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
‘হিট অফিসার’: পদ কীভাবে নেতিবাচক হয়ে ওঠে
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ
প্রাথমিক বাদে সোমবার ৫ জেলার সব স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বন্ধ