X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

যুবলীগের দফতর সম্পাদক পদ থেকে আনিসকে বহিষ্কার

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৪:০৩আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:০১

কাজী আনিসুর রহমান আনিস সংগঠনের পরিচয়ে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ এবং অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অপরাধে যুবলীগের দফতর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান আনিসকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় যুবলীগের জরুরি প্রেসিডিয়াম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ আফিয়ার রহমান দিপু বাংলা ট্রিবিউনকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সভা শেষে সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি।

প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত গণমাধ্যমে কর্মীদের বলেন, ‘সভায় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ছিলেন না। তিনি বোধহয় ব্যস্ত ছিলেন। তাই আসতে পারেননি।’ 

সংগঠনটির অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু সাংবাদিকদের বলেন, ‘সভায় যুবলীগের দফতার সম্পাদক আনিসুর রহমান আনিসকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজকের সভা ডাকার অনুমতি চেয়ারম্যান দিয়েছেন। তার নির্দেশেই এই সভা হয়েছে। তবে তিনি কেন আসেননি তা জানা নেই।  হয়তো অসুস্থতার কারণেও না আসতে পারেন।’ 

বৈঠকে আসন্ন সপ্তম কংগ্রেস নিয়ে আলোচনা হয়। কংগ্রেসে বর্তমান চেয়ারম্যান না থাকলে কে সভাপতিত্ব করবেন সে বিষয়ে মতামত নিতে দলের প্রেসিডিয়াম মেম্বারদের একটি প্রতিনিধি আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠকে প্রেসিডিয়াম সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শহীদ সেরনিয়াবাত, শেখ শামসুল আবেদীন, আলতাব হোসেন বাচ্চু, মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, মজিবুর রহমান চৌধুরী, মো. ফারুক হোসেন, মাহবুবুর রহমান হিরন, আবদুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, বেলাল হোসাইন, আবুল বাশার, মোহাম্মদ আলী খোকন, অধ্যাপক এবিএম আমজাদ হোসেন, আনোয়ারুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার নিখিল গুহ, শাহজাহান ভুইয়া মাখন, ডা. মোখলেছুজ্জামান হিরু।

প্রসঙ্গত, কাজী আনিসুর রহমান যুবলীগের দফতর সম্পাদক পদে ছিলেন। তিনি যুবলীগ অফিসের পিয়ন থেকে কেন্দ্রীয় নেতা হয়েছেন। দুর্নীতি-মাদক-ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে তিনি আড়ালে চলে যান।

২০০৫ সালে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আনিসের চাকরি হয়। তখন তিনি নেতাদের হুট ফরমায়েশ শোনার পাশাপাশি কম্পিউটার অপারেটরের কাজও করতেন। এই সুবাদে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি কার্যালয়ে আসা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গেও সখ্য হয় তার।

যুবলীগ নেতাদের সূত্রে জানা গেছে, কাজী আনিস কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যালয়ে পিয়ন হিসেবে যোগ দেন ২০০৫ সালে। বেতন ছিল মাসে ৫ হাজার টাকা। সাত বছর পরে হয়ে যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের দফতর সম্পাদক। যুবলীগের সবশেষ কমিটিতে তাকে এই গুরুত্বপূর্ণ পদ দেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব।

 

/ইএইচএস/এসটি/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনালঘরের মাঠে পিএসজিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো ডর্টমুন্ড
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
ইজিবাইক ছিনতাইয়ের সময় স্থানীয়দের পিটুনিতে একজনের মৃত্যু
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে শ্রমিকরাও অংশীদার হবে: এমপি কামাল
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
মোস্তাফিজের শেষ ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!