জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানের দৌহিত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের ৫০তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর)। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের উপদেষ্টা, অটিজম বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটির চেয়ারম্যান, ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’-এর ‘থিমেটিক অ্যাম্বাসেডর’।
শুভেচ্ছা বার্তায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরে মা শেখ হাসিনার সঙ্গে দীর্ঘ নির্বাসনে ছিলেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন। সব প্রতিকূলতা ও বাধা-বিপত্তি জয় করে তিনি উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হন। সায়মা ওয়াজেদ হোসেন ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে।
সায়মা ওয়াজেদ ২০০৮ সাল থেকে শিশুদের অটিজম এবং স্নায়ুবিক জটিলতা সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর কাজ করছেন। তিনি ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম বিষয়ক প্রথম দক্ষিণ এশীয় সম্মেলন আয়োজন করেন। ২০১৩ সাল থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যের বিশেষজ্ঞ পরামর্শক হিসেবে কাজ করছেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ, বিশ্ব সংস্থা কর্তৃক ২০১৪ সালে হু অ্যাক্সিলেন্স পুরস্কারে ভূষিত হন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, সায়মা ওয়াজেদ হোসেন বিশ্বের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মেধা-মনন-প্রতিভা ও মানসিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন। তিনি আপন কর্মমহিমায় নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় তুলে ধরেছেন। তিনি ক্ষমতা ও ঐশ্বর্যের মোহ থেকে নিজেকে মুক্ত রেখে আত্মশক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে মানবতা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মহান ব্রতে আবদ্ধ করেছেন। তিনি এমন এক মহৎপ্রাণ ব্যক্তিত্ব, যিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়ার মহান দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের নেতৃত্বে অটিজম আন্দোলনের ফলে এ দেশের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা মূলধারায় সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। তাদের মেধা ও দক্ষতা বিকাশের অবারিত সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সায়মা ওয়াজেদ হোসেনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রমাণিত হয়েছে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুরা সমাজের বোঝা নয়। বরং সুযোগ পেলে তারাও মেধা-মনন-দক্ষতা ও সৃজনশীলতায় সুনাগরিক হয়ে উঠতে পারে।
তিনি আরও বলেন, সায়মা হোসেন ওয়াজেদ পুতুল আপন কর্মমহিমায় হয়ে উঠেছেন মানবিক বিশ্বের এক উজ্জ্বলতম নক্ষত্র। সব মানবিক হৃদয়ের মানুষের অতি আপনজন; দেশপ্রেমিক ও মানবতাবাদী তরুণ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। শুভেচ্ছা বার্তায় ওবায়দুল কাদের মানবতাবাদী বিশ্ববরেণ্য মনোবিজ্ঞানী সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুলের জন্মদিন উপলক্ষে দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা এবং পরম করুণাময়ের কাছে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
