মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের জেরে সীমান্তে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে দেশটি থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে বাংলাদেশে দুজন নিহত হয়েছেন। সীমান্তে অস্থিরতা বাড়লেও তা নিয়ে দেশটির সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না সরকার। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যুদ্ধের কোনও কারণ নেই। শুধু মিয়ানমার নয়, কারও সঙ্গেই আমরা যুদ্ধে জড়াতে চাই না।’
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
‘মিয়ানমারে চলমান সংঘাত তাদের অভ্যন্তরীণ’ উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মিয়ানমারে ৫৪টি অ্যাথনিক কমিউনিটি আছে। বিভিন্ন জায়গা তারা অলরেডি দখল করে নিয়েছে। তাদের সেনাবাহিনীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর কনফ্লিক্ট এটা। আমাদের সঙ্গে তাদের কোনও বিরোধ নেই। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যে সমস্যা আছে, সেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে।’
মিয়ানমারের সঙ্গে ‘সীমান্ত সমস্যা’ নিয়ে কিছু থাকলে তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি বাংলাদেশ জাতিসংঘের নজরে আনবে বলেও জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘যেকোনও সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত আছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যদি মিয়ানমারের দ্বন্দ্বের কোনও বিষয় আসে, তাহলে জাতিসংঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করবো। আন্তর্জাতিক ফোরাম আছে। জাতিসংঘ যেহেতু আছে, তাদেরও একটা ভূমিকা থাকবে।’
এ সময় উপজেলা পরিষদসহ স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করা না করার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নির্বাচনে প্রতীক থাকছে কি থাকছে না..., আমাদের ওয়ার্কিং কমিটি একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্ধিত সভায় যারা থাকবেন তাদের মতামতও গ্রহণ করা হবে। কারণ এটা মৌলিক একটা সিদ্ধান্ত। এ ব্যাপারে সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আমাদের নেত্রী।’
এসময় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি নির্বাচন কমিশন শিডিউল ঘোষণা করবে। তারপর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আমাদের মনোনয়ন বোর্ড বসবে। সেখানে আমাদের প্রাপ্য ৪৮টি আসনে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।