আগামী শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে প্রস্তুতিতে ব্যস্ত নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে দেখা যায় নেতাকর্মীরা খাবার সংরক্ষণ করছে। নিয়ে আসা হয়েছে মাইক।
গণসমাবেশের বাকি এখনও তিন দিন। এরমধ্যে পর্যাপ্ত পানি, বিস্কুট, চিড়া, মিঠায় ও খিচুড়ি রান্নার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গণসমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের যেন খাবারের কষ্ট করতে না হয়, সেজন্য আগে থেকেই এমন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।
ঢাকার গণসমাবেশ সফল করতে কমতি নেই বিএনপির। রাতে ঘুরে দেখা যায়, বাইরে থেকে আসা পানি ও বিস্কুট কার্যালয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তারা। রান্নার ঢেকের পাশে বাবুর্চিরা থাকার ব্যবস্থা করেছেন। সমাবেশকে ঘিরে আশপাশের এলাকায় ব্যানার-ফেস্টুন লাগাতে ব্যস্ত কেউ কেউ।
বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে নয়াপল্টন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে। পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। হোটেল ভিক্টোরিয়া পাশে রাস্তার ওপরে অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তা সদস্যরা। আরও দুই দল কাকরাইল ও ফকিরাপুল মোড়ে অবস্থান করছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে খিচুড়ি রান্নার জন্য পেঁয়াজ ও রসুনসহ মসলা তৈরিতে ব্যস্ত একদল। খাবারের আয়োজন বিষয়ে জানতে চাইলে এক বাবুর্চি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল নেতা গোলাম মাওলা শাহিনের পক্ষ থেকে খিচুড়ির আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পশ্চিমের ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল হাসান রাজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীরা এখানে অবস্থান করছেন। আমরাও কয়েক দিন ধরে এখানে আছি। সমাবেশ সফল করে বাড়ি যাবো।
তিনি আরও বলেন, আগামীকাল থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশে আসতে শুরু করবে বলে আমাদের জানানো হয়েছে। ঢাকা জেলার নেতাকর্মীদের আসতে বলা হয়েছে। এছাড়া সারাদেশ থেকে নেতাকর্মীদের আসতে নিষেধ করা হয়েছে। যারা আসবে, তারা নিজ দায়িত্বে আত্মীয় স্বজনের বাসায় থাকতে বলা হয়েছে। বিএনপি নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে গণসমাবেশ হচ্ছে। আমরা এখানেই সমাবেশ সফল করে বাড়ি ফিরে যাবো। বিএনপি এখন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করবে। সমাবেশের জন্য প্রস্তুত নয়াপল্টন।
এছাড়া রূপনগর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মেহেদী হাসানও অবস্থা করছে বিএনপি কার্যালয়ে। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে সারা দেশে নেতাকর্মীরা সংগঠিত হয়েছে।