চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘আপনাদের মনে রাখতে হবে— এই লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লড়াই। লড়াইয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে— আগামী দিনে বাংলাদেশ স্বাধীন থাকবে কিনা, দেশের মানুষ মুক্ত থাকবে কী থাকবে না। এ লড়াই আমাদের মুক্তির লড়াই, আমাদের স্বাধীনতার লড়াই, এ লড়াই দেশনেত্রীকে মুক্ত করার লড়াই। এ লড়াই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার লড়াই।’
সোমবার (১ মে) মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে শ্রমিক দল আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব এসব কথা বলেন। সমাবেশে বিএনপি, শ্রমিকদলসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। বেলা আড়াইটায় সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ১১টার দিকেই ফকিরাপুল নয়াপল্টন সড়ক পূর্ণ হয়ে যায়। নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পিকআপ দিয়ে করা হয় ভ্রাম্যমাণ মঞ্চ। ৪টা ৪০ মিনিটে সমাবেশ শেষ হলে শুরু হয় র্যালি। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজার গিয়ে শেষ হয়এই র্যালি।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমরা জনগণের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা ১০ দফা কর্মসূচি দিয়েছি। এর প্রধান দাবি হচ্ছে— এ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে এবং একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে তাদের মাধ্যমে নির্বাচন হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার শ্রমিকদের সরকার কৃষকদের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আবার সেই পুরনো কাদায় তারা আরেকটি নির্বাচন করতে চায়। আবার মানুষ যেন ভোট দিতে না পারে, ভোট চুরি করে যেন ক্ষমতা আসতে পারে এবং তারা যেন আবার ক্ষমতা দখল করতে পারে, সেজন্য এখন থেকে তারা হুমকি দিয়ে জনগণকে ভয় দেখাতে চায়। আজকে আমাদের নিজেদের স্বার্থে, বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে, শ্রমিকের স্বার্থে, কৃষকের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে আজকে আমাদেরকে রুখে দাঁড়াতে হবে।’
সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আযম খান প্রমুখ।