রাজধানীর মগবাজারের দিলু রোডে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তমূলক বলে মনে করছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতেই এটা করা হচ্ছে। যারা বিরোধী দলকে দোষারোপ করতে চায়, তারা এগুলো করছে। তারা তাদের বিভিন্ন সংস্থা দিয়ে এগুলো করাচ্ছে।’
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির প্রশিক্ষণ সেলের উদ্যোগে ‘নারী নেতৃত্ব অগ্রগতি বিষয়ক’ এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা অসম যুদ্ধের মধ্যে আছি। এই যুদ্ধটা হচ্ছে আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করার যুদ্ধ। আমাদের দেশকে রক্ষা করার যুদ্ধ। এই লড়াই হচ্ছে আমাদের অস্তিত্বের লড়াই। আর সময় খুব কম। এই সময়ের মধ্যে আমাদের সব মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একটা সমস্যা আছে। চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। সেই বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। ওরা একনায়কতন্ত্রের মানসিকতা নিয়ে কাজ করেছেন। আর রাজনৈতিক দলগুলোর গণতন্ত্রের স্পেস ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এরা (আওয়ামী লীগ) ক্ষমতায় থাকতে চায়। আর ক্ষমতায় স্থায়ীভাবে থাকতে চায়। আর আমরা গণতন্ত্রকে ফিরে আনার জন্য গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কাজ করছি।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিদেশিদের নিয়ে কথা হচ্ছে। কেন বিদেশিরা আসছে? আমেরিকার আজ একটা টিম আসছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে একটা টিম এসেছে। তারা এখানে মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও নির্বাচন সম্পর্কে জানতে এসেছেন এবং বুঝতে চায়। আর এখানে গণতন্ত্র নাই, নির্বাচন হয়নি।’
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচনে নির্ধারিত হবে দেশে গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে কি থাকবে না। তাই আজ আমাদের সবার দায়িত্ব রুখে দাঁড়াতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটি সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, চিফ অব পার্টি (ডিআই) ডেনা এল ওলস, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, বিএনপি নেতা এবিএম মোশাররফ হোসেন, বিএনপি নেত্রী রাশেদা বেগম হিরা, রেহানা আক্তার রানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।