বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে (বীর উত্তম) আটকের অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রবিবার (৫ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরসহ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক (ময়মনসিংহ বিভাগ) সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
রিজভী জানান, শনিবার (৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানী থেকে ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমরকে আটক করা হয়। রবিবার (৫ নভেম্বর) ভোরে রাজধানীর উত্তরা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরী এবং শরিবার রাজধানী থেকে সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশকে এখন বৃহৎ কারাগার বানিয়ে ফেলেছেন। একদিকে সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে, অপরদিকে সিনিয়র নেতাসহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে গ্রেফতারে ক্র্যাকডাউন শুরু হয়েছে। এটি যেন এক মহা তামাশা।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিএনপির বন্ধ কার্যালয়ে ইসির চিঠি পাঠানোও আরেকটি তামাশা ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আসলে সরকার নিজেদের অতি চালাক ভাবছে। সবকিছুতেই ধরাকে সরা জ্ঞান করছে। নির্বাচনের আগে যেভাবে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে বিএনপিরসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে তাতে এটি সুস্পষ্ট, আগামী নির্বাচন যেনতেন প্রকারে অনুষ্ঠিত করে আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে বদ্ধপরিকর অবৈধ শাসকগোষ্ঠী।’
রিজভী বলেন, ‘জনগণ এবার আওয়ামী অবৈধ সরকারের এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে দেবে না। ধারাবাহিকভাবে নেতাকর্মীদের গ্রেফতারে প্রচণ্ড ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণ আরও বলিয়ান হচ্ছে। বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারব্যবস্থা বাস্তবায়ন ছাড়া জনগণ রাজপথ ছেড়ে ঘরে ফিরে যাবে না।’