নয়াপল্টনে বিএনপির তিনটি সহযোগী সংগঠনের ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ ঘিরে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা ও পথচারীরা। বিশেষ করে দুপুরের স্কুল ছুটির সময় হওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গুলিস্তান থেকে এয়ারপোর্ট ও বাড্ডাগামী শতাধিক যানবাহন বিজয়নগর থেকে শান্তিনগর-মৌচাক পর্যন্ত একেবারে থমকে গেছে। যাত্রীরা বাধ্য হয়ে বাস থেকে নেমে পড়লেও বাসগুলো মাঝ রাস্তায় আটকে রয়েছে। মানুষের ভিড়ে অনেক সড়কে রিকশা চলাচলের জায়গাও নেই, এমনকি হেঁটে চলাও কঠিন হয়ে পড়েছে।
সমাবেশ কেন্দ্র করে পল্টন, গুলিস্তান, মৎস্য ভবন মোড়, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, রাজারবাগ, শাহজাহানপুর, বেইলি রোড, মতিঝিল, পুরানপল্টন, কাকরাইল ও ফকিরাপুল এলাকায় যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
এই এলাকাগুলোতে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে—যেমন: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আইডিয়াল স্কুল, মতিঝিল মডেল স্কুল, নটর ডেম কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ইত্যাদি। এসব প্রতিষ্ঠানের ছুটি একসাথে হওয়ায় যানজট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। অলিগলি ও প্রধান সড়কগুলোতেও যানবাহন আটকে আছে। অনেক অভিভাবককে রিকশা থেকে নেমে সন্তানদের নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের এক অভিভাবক বলেন, ‘স্কুল ছুটির সময় রিকশা বা কোনও যানবাহন না পেয়ে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছি। কিন্তু মানুষের ভিড়ে হাঁটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।’
কাকরাইল মোড়ে আটকে থাকা ভিক্টর পরিবহনের বাসচালক সজীব বলেন, ‘আমি এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে আছি। কোনও দিকেই যেতে পারছি না। যাত্রীরাও বাস থেকে নেমে পড়েছেন। আশপাশের প্রায় সব সড়কেরই একই অবস্থা।’