X
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

সাদা পোশাকে ধরপাকড় করে এরা কারা, প্রশ্ন কামাল হোসেনের

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:৩৬আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:০৫

বক্তব্য রাখছেন ড. কামাল হোসেন গণফোরাম সভাপতি এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সারাদেশে সাদা পোশাকে ধরপাকড় করে এরা কারা? মঙ্গলবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণফোরাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘সাদা পোশাকে ধরপাকড়ের ব্যাপারে কিছুটা তদন্তের দরকার আছে। এরা কারা? সাদা পোশাকে তো কাউকে ধরার ক্ষমতা আইনে দেওয়া নেই। এখানে রিস্ক আছে! এখন মানুষ যদি সাদা পোশাকওয়ালাদের ধরে বলে তুমি কে? পোশাক এই কারণেই দেওয়া হয় সাধারণ মানুষ যাতে বুঝতে পারেন তারা রাষ্ট্রপক্ষের দায়িত্ববান লোক। পোশাক না পরলে মানুষ ধরে নিতে পারে, এরা হলো ছিনতাইকারী। এরা মানুষকে অন্যায়ভাবে কিডন্যাপ করছে। এই কারণেও কিন্তু এই প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া উচিত।’

তিনি বলেন, ‘আইনে এই বিধান নেই যে সাদা পোশাক পরে কেউ কাউকে গ্রেফতার করতে পারে। হয়তো বিশেষ ক্ষেত্রে পোশাক না পরা লোক এটা করতে পারে। যারা ইউনিফর্ম পরে তারা একটি ডিসিপ্লিনের মধ্যে থাকে, তাদের পরিচয় থাকে। যাদের ধরার ক্ষমতা আছে, তাদের আইনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। আজকে আমাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে হয়—আমরা সাংবিধানিক শাসনের বাইরে চলে যাচ্ছি। সংবিধানের বাইরে গিয়ে করলে তা বেআইনি শাসন এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানির পর্যায়ে পড়ে। এটা বেশি হলে আমরা গুরুতর সংকটের সম্মুখীন হবো। সরকারকে এই ব্যাপারে সজাগ হতে হবে, যাতে এই জিনিসগুলো দ্রুত বন্ধ করা যায়।’
হঠাৎ ধরপাকড় আতঙ্ক, পুরনো মামলা সচল, ঘটনা ঘটেনি অথচ মামলা করে রেখেছে পুলিশ, এমন দাবি করে কামাল হোসেন বলেন, ‘মৃত ব্যক্তিকে ককটেল ছুড়তে দেখেছে পুলিশ! এগুলো পুলিশ সম্পর্কে উদ্বেগের কারণ। এ রকম ঘটনা একটার পর একটা ঘটছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগের কারণ।’

ড. কামাল বলেন, সাংবিধানিক শাসন যেখানে থাকে, সেখানে পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ থাকে। এটি হলো সাংবিধানিক শাসন। যেখানে স্বৈরতন্ত্র থাকে, সেখানে ইচ্ছামতো লোকজন ধরা যায়, মানুষকে গুম করা যায়। সাংবিধানিক শাসন থাকলে কাউকে ধরলে বলতে হবে, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা জানাতে হবে। কোর্টে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজির করতে হবে, যাতে সে জামিন নিতে পারে। একবার-দুবার এরকম হলে আমরা বলতে পারি বিশেষ কারণে হয়তো এই আইন অমান্য করা হয়েছে। কিন্তু রীতিমতো যদি হতেই থাকে, তাহলে তো আর আমাদের সাংবিধানিক শাসন থাকে না। সবচেয়ে আপত্তিকর যেই জিনিসটার ব্যাপারে সরকারকে আমরা জানাবো যে এই আদেশ যদি পুলিশকে দিয়ে থাকেন, আপনারা এটা থেকে বিরত থাকুন। অন্যথায় আমরা কোর্টে যাবো।’

তিনি বলেন, ‘এই আদেশ দেওয়া যেতে পারে না—আমরা কেন ধরছি এটা আমরা জানাবো না। এটা হতে পারে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ যদি আদেশ না পেয়ে এরকম করে থাকে, তাহলে সেটা আরও গুরুতর অপরাধ। আর যদি ওপর থেকে আদেশ দেওয়া হয়, তাহলে এ ধরনের আদেশ বেআইনি। নির্বাচনকে সামনে রেখে যদি এগুলো করতে থাকে সরকার, তাহলে পরিবেশটা নষ্ট হচ্ছে।’

/এসও/এপিএইচ/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ হবে: প্রতিমন্ত্রী
অভিবাসী কর্মীদের জন্য আরও টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ হবে: প্রতিমন্ত্রী
কেন স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন
কেন স্বাস্থ্য খাতে বাজেটে জিডিপির ২ শতাংশ বরাদ্দ প্রয়োজন
কিংসের বিপক্ষে ফাইনালের পাঁচ রেফারি নিয়ে আপত্তি মোহামেডানের 
কিংসের বিপক্ষে ফাইনালের পাঁচ রেফারি নিয়ে আপত্তি মোহামেডানের 
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট কাল
লোকসভা নির্বাচনের পঞ্চম দফার ভোট কাল
সর্বাধিক পঠিত
মামুনুল হক ডিবিতে
মামুনুল হক ডিবিতে
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
‘নীরব’ থাকবেন মামুনুল, শাপলা চত্বরের ঘটনা বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
ভারতীয় পেঁয়াজে রফতানি মূল্য নির্ধারণ, বিপাকে আমদানিকারকরা
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
মোবাইল আনতে ডিবি কার্যালয়ে মামুনুল হক
‘অধিকার দিতে হবে না, কেড়ে না নিলেই হবে’
‘অধিকার দিতে হবে না, কেড়ে না নিলেই হবে’