কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে খারিজ হওয়ার প্রতিবাদে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও ছাত্রদল। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের আদেশের পরপরই রাজধানীতে বিচ্ছিন্নভাবে বিক্ষোভ করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কর্মী-সমর্থকরা। এ সময় এক সমাবেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নেতাকর্মীদের ঘর থেকে বের হয় এসে খালেদা জিয়ার কারামুক্তির আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদল। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিয়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের নেতৃত্বে মিছিলটি ঢাবির বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
এদিকে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার পর নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ানো হয়েছে। বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে তার ন্যায়সঙ্গত অধিকার জামিন থেকেই কেবল বঞ্চিতই করছে না, বরং শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ একজন বয়সী নারীকে সুচিকিৎসা থেকেও বঞ্চিত করছে। জনগণের আশা-ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল আদালত তাকে জামিন না দিয়ে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। আমরা মনে করি সরকারের হস্তক্ষেপেই আদালত তা খারিজ করলেন। প্রকৃত অর্থে এই আদেশের মাধ্যমে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হলো।’
বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘এখন আর ঘরে বসে থাকলে চলবে না। খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত করতে সব বাধা উপেক্ষা করে রাস্তায় নামতে হবে। সরকার খালেদা জিয়াকে জামিন না দিতে বিচার বিভাগ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) কর্তৃপক্ষকে প্রভাবিত করেছে।’
আরও পড়ুন- জামিন পেলেন না খালেদা জিয়া, ‘সম্মতি’ পেলে উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ