X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১
রাত পোহালেই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা

বিএনপির সঙ্গ ছাড়ছে ইসলামী ঐক্যজোট

সালমান তারেক শাকিল ও চৌধুরী আকবর হোসেন
০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০২:২৩আপডেট : ০৭ জানুয়ারি ২০১৬, ০৮:৪২

বিএনপির সঙ্গে দীর্ঘ দুই যুগেরও বেশি সময়ের রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে চলেছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল ইসলামী ঐক্যজোট। জোটকে কেন্দ্র করে অনেক দিনের চাপা ক্ষোভ থেকে দলটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সরকারের ক্রমাগত চাপ ও সুযোগ-সুবিধার প্রতিশ্রুতিও। বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) দলের ত্রি-বার্ষিক কনভেনশনে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসলামী ঐক্যজোট। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টায় শেষ হওয়া মজলিসে শূরার জরুরি-রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে ১৯৯৯ সাল থেকে চলে আসা বিএনপি-ইসলামী ঐক্যজোটের দীর্ঘ দুই যুগের সম্পর্কের ইতি ঘটবে। বুধবার রাতে বৈঠক শেষে ইসলামী ঐক্যজোটের তিন শীর্ষ নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ইসলামী ঐক্যজোটের মজলিসে শুরার জরুরি বৈঠকের ছবি

ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ নেতারা জানান, বিএনপির ওপর ক্ষোভের বিষয়ে মজলিসে শূরার ২৭ জন সদস্যই একমত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই চাপা ক্ষোভ কাজ করেছে। তবে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট ভেঙে এসে পরবর্তী সময়ে ইসলামী ঐক্যজোটের রাজনৈতিক রোডম্যাপ কী হবে, এ নিয়ে বিতর্ক চলেছে বুধবার ও মঙ্গলবার।

বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে মজলিসে শূরার সদস্যরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছেন। আগের দিন মঙ্গলবারও দফায় দফায় আলোচনা হয়েছে দলের ভেতরে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আলোচনা চললেও রাত আটটার দিকে বিরতি দিয়ে সাড়ে আটটার দিকে ফের বৈঠক শুরু হয়। রাজধানীর লালবাগের জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা ভবনে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠকটি চলে।

দলটির শীর্ষ এক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দলের প্রত্যেকের ইচ্ছা বিএনপি ছাড়ার। এটি ক্ষোভের কারণে হয়েছে। তবে বের হয়ে কী করা হবে, এ নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত করা যাচ্ছে না।

রাতে বৈঠকশেষে একনেতা বলেন, বিএনপি ছাড়ার ঘোষণা দেবেন চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ নেজামী। তার উপরেই দায়িত্ব পড়েছে ঘোষণা দেওয়ার। আর মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ ঘোষণা দেওয়ার লিখিত টেক্সট তৈরি করবেন।

আগের দিন মঙ্গলবার রাতে ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, দলের মধ্যে ফিফটি-ফিফটি ভাগ হয়েছে। অনেকে বিএনপি ছাড়ার পক্ষে, অনেকে বিপক্ষে। কাউন্সিলের আগেই ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানা যাবে।

একই দিন দলটির অন্য এক শীর্ষনেতা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছিলেন, তিনি নিজে স্থির কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারছেন না। তার দাবি ছিল, বিএনপি ছাড়ার সম্ভাবনা আছে। তবে, আজই (মঙ্গলবার) চূড়ান্তভাবে লেখা যাবে না।

বুধবার রাতে ইসলামী ঐক্যজোটের আরেক নীতিনির্ধারণী নেতা বলেন, বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে বের হয়ে কী হবে, সেটি বলা যাচ্ছে না। অনেক শূরা সদস্য সেই বিষয়টি নিয়েই সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছেন। অনেকটা এমন যে, বিএনপি ছাড়লে কালই নতুন কোনও উদ্যোগের ঘোষণা দিতে হবে।

ইসলামী ঐক্যজোটের একাধিক নেতা বাংলা ট্রিবিউনের কাছে স্বীকার করেছেন, বিএনপির ওপর ক্ষোভের বাইরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ছিল সরকারি চাপের। তবে, সরকারের চাপের পাশাপাশি প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধার প্রাপ্তির বিষয়টিও ইসলামী ঐক্যজোটের কাছে গুরুত্ব পেয়েছে।

সরকারের প্রভাবশালী একটি গোয়েন্দা সূত্র বুধবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে জানায়, ইসলামী ঐক্যজোট বিএনপি ছেড়ে আসুক, এটা সরকারের চাওয়া। এতে করে বিএনপিকে দৃশ্যত দুর্বল দেখানো ও নৈতিকভাবে পরাস্ত করা যাবে। তবে, ছাড়ার সিদ্ধান্তে আসার আগে প্রশাসনের সঙ্গেও ইসলামী ঐক্যজোটের কয়েকটি বিষয়ে সমন্বয় হয়েছে। এর মধ্যে বড় কাটারা মাদ্রাসার অবস্থান, পরিচালনার ভার, বের হয়ে এলে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, বিকল্প ইসলামী জোট গড়া, পরবর্তী নির্বাচনে আসন সমঝোতাসহ নানারকম বিষয় সংশ্লিষ্ট ছিল।

সূত্র জানায়, এ বিষয়গুলোয় এক ধরনের সমন্বয় তো অনেক আগেই ঘটেছে। তবে, নীতিনির্ধারণী নেতারা অনেক আগেই বিএনপি ছাড়ার পক্ষে থাকলেও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা জোট ছাড়ার বিপক্ষে ছিলেন। বিশেষ করে হেফাজতের ঘটনায় সরকারের প্রত্যক্ষ ভূমিকা থাকায় কওমিপন্থীদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সমালোচনা রয়েছে। ফলে, দৃশ্যত কোনও সমঝোতার বিষয়ে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-ছাত্ররা টের পেলে হিতে বিপরীত হতে পারে—এমনটি ভেবেই বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্তটি বিলম্বিত হচ্ছে।

বিষয়টি স্বীকার করেছেন ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেন, চাপ তো ছিলই। হেফাজতের ঘটনার পর থেকে ইসলামী ঐক্যজোটই সবচেয়ে বেশি ভিকটিম। হেফাজতের কর্মকাণ্ড সারাদেশে সাংগঠনিক রূপ নিতে ইসলামী ঐক্যজোটের ভূমিকা কেউ অস্বীকার করতেও পারবেন না। এছাড়া, নেতাদের নামে অসংখ্য মামলাও রয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী ঐক্য জোট মিলিত হয়ে চার-দলীয় ঐক্য জোট গঠন করে। পরবর্তী সময়ে আরও দল যুক্ত হয়ে বর্তমানে ২০ দলীয় জোটে পরিণত হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এলে ভাঙনের মুখে পড়ে ইসলামী ঐক্যজোট। যদিও ওই বছরের নির্বাচনে মুফতি আমিনী ও মুফতি শহিদুল ইসলাম দলটির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথম চেয়ারম্যান শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের সঙ্গে মনোমালিন্যে জড়িয়ে পড়ে জোট ভেঙে পৃথক ইসলামী ঐক্যজোট গঠন করেন প্রয়াত মুফতি ফজলুল হক আমিনী। আজিজুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ‘ইসলামী ঐক্যজোটের’ কোনও কার্যক্রম চালায়নি।

অন্যদিকে, চারটি দল নিয়ে মুফতি আমিনীর অংশটিই ‘দল হিসেবে’ শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। পাশাপাশি মিছবাহুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্ব বাংলাদেশ ইসলামী ঐক্যজোট নামে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত। অন্য গ্রুপটি পলাতক মুফতি ইজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে আছে। এটির কোনও কার্যক্রম নেই।

 

বিএনপি ছাড়লে যা যা হতে পারে

ইসলামী ঐক্যজোটসূত্র জানায়, বিএনপির সঙ্গত্যাগে নারাজ ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী। তিনি নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি বিএনপির সঙ্গ কোনও কারণ ছাড়াই ছাড়তে অনাগ্রহী। এ কারণেই বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে ইসলামী ঐক্যজোটের নেতাদের দেরি হয়েছে।

সূত্রের দাবি, ব্যক্তিগতভাবে মুফতি আমিনীর ছেলে হাসানাত আমিনী, মুফতি ফয়জুল্লাহ, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আলতাফ হোসাইনসহ অনেকেই বিএনপিত্যাগ করতে চান। তবে মাওলানা নেজামী ও দলের তৃণমূলের একটি বড় অংশ থাকতে আগ্রহী। এই নেতারা গত এক বছরে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। মাওলানা নেজামী সুনির্দিষ্ট কোনও কারণ না দেখিয়ে বিএনপিকে না বলতে অনাগ্রহী।

বাংলা ট্রিবিউনকে মাওলানা নেজামী বলেন, আমার ব্যক্তিগত মত কিছু নেই। দলের বেশিরভাগ সদস্য বা সবাই যা বলবেন, আমি তা-ই গ্রহণ করব। এতে কোনও দ্বিমত নেই। এদিকে, ২০ দলীয় জোটের একটি শরিক দলের মহাসচিব বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ইসলামী ঐক্যজোট বিএনপি ছাড়লেও শেষ পর্যন্ত মাওলানা থেকে যেতে পারেন। সূত্রের দাবি, মাওলানা নেজামী তার নেজামে ইসলাম পার্টি নিয়েই ২০ দলীয় জোটে প্রতিনিধিত্ব করবেন। সেক্ষেত্রে বিএনপিও দাবি করতে পারবে, ২০ দলীয় জোট ভাঙেনি, অটুট রয়েছে।

জানতে চাইলে এ নিয়ে মাওলানা নেজামী কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা হাসানাত আমিনী বলেন, এমনটি হওয়ার আশঙ্কা নেই। দল যা করবে, সবার সিদ্ধান্তে করবে। আমরা নিজেদের ঐক্য ধরে রাখতে চাই।

 

মুফতি ফয়জুল্লাহ মঙ্গলবার রাতে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছিলেন, এ ধরনের কোনও আশঙ্কা আছে বলে মনে হয় না। আমাদের ঐক্য অটুট আছে। এই ঐক্য আগামী দিনে আরও শক্তিশালী হবে।

 

জানতে চাইলে বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক শামীমুর রহমান বলেন, না, এমন কোনও কথা এখনও শুনিনি।

বুধবার রাতে বৈঠকশেষে ইসলামী ঐক্যেজোটের এক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ইসলামী ঐক্যজোট ভাঙবে না। বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত হলেও নেজামী সাহেব থাকবেন। তিনি কোনভাবেই বিএনপি ছাড়তে চান না। এই নেতা আরও জানান, আমরা একটি ইসলামি এলায়েন্স করতে চাচ্ছি। আপাতত আমরা নিজেরা সংগঠন গোছানো ও ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ঐক্য চাই।

কাছাকাছি সময়ে ২০ দলীয় জোটের একটি শরিক দলের মহাসচিব বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মাওলানা নেজামী। মনে হয় না, উনি শেষ পর্যন্ত বিএনপি ছাড়বেন।

এ নিয়ে জানতে চেয়ে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে কল করা হলেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।

এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, সরকারের কাজ কোনো দল ভাঙা নয়।

এদিকে, ইসলামী ঐক্যজোট সূত্র জানায়, দলটির নির্বাহী পরিষদের কাউন্সিল নিয়ে মঙ্গলবার থেকে দুদিনব্যাপী বৈঠক করছেন দলটির মজলিসে শূরার সদস্যরা। এতে দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এরমধ্যে দলের নির্বাহী পরিষদ ৬১ সদস্যের পরিবর্তে ৮১ সদস্যের করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দলটির ভবিষৎ কর্ম পরিকল্পনাও নির্ধারণ করা হবে।

দ্বিতীয় দফা ভাঙনের মুখে পড়ল ২০ দলীয় জোট

ইসলামী ঐক্যজোটের বেরিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের ভাঙনের মুখে পড়ল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বার ভাঙল এ জোটটি। এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জোটটি ছেড়ে শেখ শওকত হোসেন নীলুর নেতৃত্বে ন্যাশনালিস্ট ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট- এনডিএফের জন্ম হয়েছিল।

আওয়ামী লীগের গত আমলে নির্দলীয় সরকারের দাবির আন্দোলনে গতি আনতে চারদলীয় জোটের পরিসর বাড়িয়ে ১৮ দলীয় জোট গঠন করে বিএনপি। ৫ জানুয়ারির ভোটের পর কাজী জাফর আহমদ নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির যোগদানের মধ্য দিয়ে তা ১৯ দল হয়েছিল। এরপর সরকারের শরিক সাম্যবাদী দলের একাংশ যোগ দিলে তা হয় ২০ দল। এরপর নতুন কোনো দল যোগ না দিয়ে ২০ দলীয় জোট থেকে দলের সংখ্যা কমতে থাকে। প্রথমে বের হয় শেখ আনোয়ারুল হক নেতৃত্বাধীন ন্যাপ ভাসানী। প্রধানমন্ত্রীর ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর ২০১৪ সালের আগাস্টে জোট থেকে বহিষ্কার করা হয় শেখ শওকত হোসেন নীলু নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল পিপলস পার্টিকে (এনপিপি)। ওই জোটের অন্যতম দলগুলো হচ্ছে, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (আনোয়ারুল হক), মুসলিম লীগ (জোবাইদা কাদের-আতিক), ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এনডিপি (আলমগীর মজুমদার), ভাসানী মঞ্চ (মমতাজ চৌধুরী), বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টি (আবদুর রশিদ প্রধান), লেবার পার্টি (সেকান্দর আলী), ইনসাফ পার্টি (শহীদ চৌধুরী)। এর মধ্যে মুসলিম লীগ, এনডিপি, ইসলামিক পার্টি, লেবার পার্টি ২০ দলীয় জোটে রয়েছে। তবে, দেখা গেছে, কেউ জোট থেকে বেরিয়ে গেলে আরেক নেতার নেতৃত্বে অন্য একটি অংশ ২০ দলে থেকে যাচ্ছে, যা এনপিপির ক্ষেত্রেও হয়েছে।

ওই দলগুলো বেরিয়ে গেলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলছেন, নতুন জোট গঠন নিয়ে তাদের কোনো উদ্বেগ নেই।

এদিকে, পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র ২০ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠকে ইসলামী ঐক্যজোটের পর-পর অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সমন্বয়ক ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, লোভে পড়ে কেউ জোট ছাড়লে বিএনপি তো কাউকে আটকে রাখতে পারবে না। এরপর ওই বক্তব্য শুনে ইসলামী ঐক্যজোটের শীর্ষ এক নেতা এ প্রতিবেদককে বলেছিলেন, ‘খুব কষ্ট পেয়েছি।’

 

/এমএনএইচ/ আপ-এসএম 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বালুবাহী বলগেট থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ
বালুবাহী বলগেট থেকে নদীতে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ
পিনাকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র, মুশফিককে অব্যাহতি
পিনাকীসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র, মুশফিককে অব্যাহতি
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
সর্বাধিক পঠিত
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে