নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘সরকার বিদেশি নিষেধাজ্ঞাকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল বলছে। তাহলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা সুযোগ না দেওয়া আরও বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল।’
শুক্রবার (৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়াসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, বিদ্যুতের সর্বনাশা লোডশেডিং বন্ধ এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণতন্ত্র ফোরাম এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
সরকারের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথাটি মিথ্যা বলে মন্তব্য করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘সরকার বলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৫ হাজার মেগাওয়াট, অথচ এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৬-৭ হাজার মেগাওয়াট। সরকার বলে সেপ্টেম্বরের পর বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে, তখন তো শীত আসবে, এমনিতে বিদ্যুতের চাপ কমবে।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে আমাদের ভাত, কাপড়, রুটি, রুজির অধিকার—কোনও কিছুই নিরাপদ নয়। ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়ানোর কথা বলে ক্ষমতায় এসে জিনিসপত্রের দাম বাড়ার পরে বলে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা বেড়েছে, ওটা আমরা ঠিক করে নেবো। এটাই যদি কিছুটা বাড়া হয় তাহলে সরকার মানুষকে কী ভাবে?’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যত মেগা প্রজেক্ট হাতে নিচ্ছে সবগুলোতে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সেই সরকার কীভাবে কাজ করবে, তা আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে। এই নির্বাচন কমিশন ও ইভিএমের অধীনে নির্বাচনে যাবো না—এটা গণতন্ত্রকামী সব বিরোধী দলের সিদ্ধান্ত।’
প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচিতে গণতন্ত্র ফোরামের সহ-সভাপতি হাসনাত মো. রায়হানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, সাবেক এমপি বিলকিস ইসলাম, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রাজিয়া আলিম প্রমুখ।