আগামী দিনে নতুন বিপ্লবের আহ্বান জানিয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, ‘আগামীর রাজনীতি হবে বিভাজনহীন রাজনীতি, আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব। এই বিপ্লবের জন্য সকল জনগণকে প্রস্তুতি নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগরের কর্মীদের নিয়ে কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি। দলটির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি মুফতি নূর মোহাম্মদ আজিজীর সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার রাজির পরিচালনায় দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স কাকরাইলে সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়।
মামুনুল হক বলেন, ‘জুলাই আগস্ট বিপ্লবসহ বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশে সংগঠিত হওয়া প্রতিটি গণহত্যা, গুম, খুন ও জুলুমের বিচার না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে কোনও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি নরকে পরিণত করেছে। দেশের মানুষকে জুলুম-শোষণ করে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে গেছে, যেখান থেকে তাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত সব সময় আমাদের দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে আধিপত্যবাদ বিস্তার করে আমাদেরকে শাসন করতে চেয়েছে। বিগত ১৬ বছর তারা লুটপাট করে এ এদেশের মানুষের রক্ত চুষে খেয়েছে। তাই এখন সময় এসেছে ভারতের চোখে চোখ রেখে সকল আধিপত্যের শিকড়কে উপড়ে ফেলার। এ জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতের আধিপত্যের বিরুদ্ধে যে ঐক্যের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেই পদক্ষেপকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি সংগঠনের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস বিগত ৪৫ বছর ধরে দেশ ও জনগণের কল্যাণে প্রতিটি ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ভাঙার প্রতিবাদে যে ঐতিহাসিক লংমার্চ হয়েছে, তার জন্য ইতিহাস খেলাফত মজলিসকে মনে রাখবে। সারা বিশ্বে যেখানেই মুসলিমরা জেগে উঠবে সেখানেই আমরা সংহতি জানাবো। আজকে আমরা সিরিয়ার উত্থানকে স্বাগত জানাই। এর মাধ্যমে তাগুতি শক্তিকে বলে দিতে চাই, তোমাদের সময় শেষ হয়ে এসেছে।
কর্মী সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা তোফাজ্জল হোসাইন মিয়াজি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক মুসা, মাওলানা আবু সাইদ নোমান, মাওলানা ফয়সাল আহমেদ, মাওলানা ওযায়ের আমীন, খেলাফত ছাত্র মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্রনেতা মুহাম্মদ কামাল উদ্দীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মাওলানা হাবীবুর রহমান, সহসভাপতি মাওলানা হাসান জুনাইদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি মাওলানা আতিকুল্লাহ, মাওলানা শরীফুজ্জামান জসীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক মুফতি সানাউল্লাহ আমিনীসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন থানার সভাপতি, সেক্রেটারি ও অন্যান্য দায়িত্বশীলরা।
