স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের এইচওডি-পিআরডি হিসেবে যোগদান করেছেন কবি, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক প্রদীপ্ত মোবারক। তিনি একজন বাংলাদেশি যোগাযোগ ও জনসম্পর্ক পেশাজীবী এবং সাহিত্য-প্রেমিক। এর আগে তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ প্রধান হিসেবে কাজ করেছেন।
বুধবার (২৫ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তথ্য জানিয়েছে বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
এতে বলা হয়, প্রদীপ্ত মোবারক একজন সুপরিচিত আধুনিক কবি ও সাংবাদিক। বাংলাদেশসহ কলকাতার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে তার কবিতার অবাধ বিচরণ রয়েছে। তার কবিতা ও প্রবন্ধের প্রধান বিষয়বস্তু হচ্ছে প্রেম-দ্রোহ; সমাজচেতনা ও দেশপ্রেম। এছাড়াও তার কবিতার লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য আধুনিকতা। তিনি একজন দক্ষ জনসংযোগ পেশাজীবী, কবি ও সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে বাংলাদেশের শিক্ষা ও সাহিত্য অঙ্গনে নিজস্ব অবস্থান তৈরি করেছেন।
জন্ম ও পরিবার
কবি প্রদীপ্ত মোবারক ভোলা জেলার সদর থানার আলীনগর ইউনিয়নের মৌটুপী গ্রামের সাহেবের কাচারিতে নানা বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. আবুল কাশেমের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম আমেনা পারভিন। তার নানা ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী। ছোটবেলা থেকেই নানার আদর্শকে ধারণ এবং অনুসরণ করতেন কবি প্রদীপ্ত মোবারক। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি কাব্যচর্চা ও স্বদেশপ্রেমী হিসেবে বেশ উৎসাহী ছিলেন।
শিক্ষা জীবন
কবি প্রদীপ্ত মোবারকের শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় জন্মস্থান ভোলা সদর জেলার আলিনগর ইউনিয়নের ৫১নং আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আলীনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। এর পরে উচ্চতর শিক্ষার্জনের জন্য তিনি ভর্তি হন রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজে। পরে প্রদীপ্ত মোবারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়জীবন থেকেই তিনি সাহিত্য ও সাংগঠনিক নেতৃত্বের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বাংলা কবিতার ছন্দ নিয়ে গবেষণার কাজ করেছেন কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
পেশাগত জীবন
বর্তমানে কবি প্রদীপ্ত মোবারক স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের এইচওডি-পিআরডি হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনি ২০১০ সালের মার্চ মাসে সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করেন জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সমকালে। তখন থেকেই প্রদীপ্ত মোবারকের সাংবাদিকতা জীবনের সূচনা হয়। তার মামা ও বাংলাদেশের প্রখ্যাত কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদের সান্নিধ্যে এসে সাহিত্যের প্রতি তার উৎসাহ আরও বেশি বেড়ে যাবে। কবিতা, প্রবন্ধ, ছোটগল্পের অঙ্গনে তার পদার্পণ হয় কবি নাসির আহমেদের হাতে খড়ির মধ্য দিয়েই। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি জাতীয় পর্যায়ের প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স গণ-মাধ্যমে পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করেন তিনি। এর পরে তিনি গণমাধ্যম ছেড়ে কর্মক্ষেত্র হিসেবে বেছে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ। কখনও তিনি শিক্ষকতা, কখনও এমিনিস্ট্রেশনে, কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক রিলেশনেও কাজ করেছেন।
সাহিত্য কর্ম
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত কবিতা: রাঁধা প্রেম, বিষণ্ন সুন্দর, শূন্যতার সৌন্দর্য, আমি অশ্লীল, পরিযায়ী, ভেজা শীতসন্ধ্যা, পোড়া কাগজ, পরবর্তী সময়, আদিম অভ্যাস, স্তব্ধ রাতের আশ্রয়ে, মৃত্যু, তুমি, তুমি বাধ্য নও, নিভে যাচ্ছে আলো।
বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ: বৈচিত্র্যময় নজরুল, ভাষা আন্দোলন ও বাংলা সাহিত্য, শৈল্পিক সৌন্দর্য ও মানবতাবাদে লালন ফকির, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে কবি ও কবিতা, স্পর্শকাতর অনুভূতির নামই ভালোবাসা, সূর্য সন্তানের জন্মদিন ও কিছু কথা, বাংলা সাহিত্যে নারী কলম ও কাগজের মতোই অনিবার্য, অস্তিত্ব সংকটে মাতৃভাষা বাংলা ও অসহিষ্ণুতার অধর্ম এক সামাজিক ব্যাধি।