এশিয়ান গেমস ফুটবলে বাংলাদেশ অংশ নিচ্ছে ১৯৭৮ সাল থেকে। তবে দীর্ঘ ৪০ বছরে জয়ের সংখ্যা মাত্র তিনটি। সর্বশেষ জয় চার বছর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচনে, আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
এবারের এশিয়াডেও লাল-সবুজ দলের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ। ‘বি’ গ্রুপের তিন প্রতিপক্ষ উজবেকিস্তান, থাইল্যান্ড আর কাতার যে শক্তি-সামর্থ্যে অনেক এগিয়ে! ইন্দোনেশিয়া এশিয়াডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ১৮ আগস্ট হলেও বাংলাদেশের ফুটবল মিশনের সূচনা আজই, উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
এশিয়ান গেমসে উজবেকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স একদমই ভালো নয়। এবারের মতো ২০১৪ ইনচন আর ২০১০ গুয়াংজু এশিয়াডে একই গ্রুপে পড়েছিল দুই দল। ফল একই— উজবেকরা ৩-০ গোলে জয়ী। এবার কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে লাল-সবুজ দল?
মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে কোচের দায়িত্ব নেওয়া জেমি ডে’র অধীনে প্রথমবারের মতো কোনও প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কঠিন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হওয়ার আগে ইংলিশ কোচ বেশ চিন্তিত। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বলেছেন, ‘গত কিছু দিনে উজবেকিস্তান কয়েকটি ভালো দলকে হারিয়েছে। আমাদের তাই মাঠে সতর্ক থেকে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ইতিবাচক ফলের জন্য চেষ্টা করতে হবে।’
‘ইতিবাচক’ ফলের কথা বললেও বড় কিছুর আশা করতে যে একটু ভয় পাচ্ছেন, জেমি ডে’র পরের কথায় তা পরিষ্কার, ‘ওরা জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামবে। তাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে এই ম্যাচ থেকে কিছু পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে আমাদের। আমি ম্যাচটার জন্য অধীর অপেক্ষায় আছি। আমি দেখতে চাই শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ছেলেরা কেমন লড়াই করে।’
সেই শক্তিশালী দলকে যদি বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় অথবা ড্র করে? এমন প্রশ্নে কোচের উত্তর, ‘এই দুটো ফলের মধ্যে একটি হলে আমি দারুণ খুশি হবো। ছেলেরা কঠোর পরিশ্রম করছে, তাই তারা প্যাশন নিয়ে খেলতে পারলেই আমি খুশি।’
বাংলাদেশ পরের ম্যাচ খেলবে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে, ১৬ আগস্ট। আর ১৯ আগস্ট কাতারের সঙ্গে লড়াই।