X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

টস জিতলেই ব্যাটিং নিতেন আকরাম খান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২০ মে ২০২০, ১৫:২৩আপডেট : ২০ মে ২০২০, ১৫:২৩

টস জিতলেই ব্যাটিং নিতেন আকরাম খান নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট ছিল জমজমাট। পুরনো দিনের সেই সব জমজমাট গল্পের ঝাঁপি খুলে বসেছিলেন সাবেক তিন ক্রিকেটার খালেদ মাসুদ পাইলট, আকরাম খান ও মিনহাজুল আবেদীন। ক্রিকেটারদের নিয়ে তামিম ইকবালের লাইভ প্রোগ্রামে জানা গেলো ঘরোয়া ক্রিকেটে টস জিতলে উইকেট-কন্ডিশন না দেখেই ব্যাটিং নিতেন আইসিসি ট্রফি জয়ের অধিনায়ক আকরাম খান!

মঙ্গলবারের লাইভশোতে যেন পুরনো দিনে ফিরে গেলেন সবাই। সতীর্থ আকরাম খানকে কতটা বিরক্ত করেছেন পাইলট, সেই স্মৃতিও উঠে আসে তার কথায়, ‘তামিম, আকরাম ভাইকে আমি অনেক জ্বালিয়েছি। উনি প্রথম বল খেলতে নামার আগে দোয়া পড়তেন। আমি দোয়ার শেষের দিকে এসে তাকে বিরক্ত করতাম। কেন করতাম জানো, যেন দোয়া শেষ করতে না পারে। আর দোয়া শেষ করতে না পারলে, সে আত্মবিশ্বাসও পাবে না।’

পাইলট নিজে দুষ্টুমির কথা শেয়ার করেই ফেঁসে যান এর পর। পাইলটের কীর্তি ফাঁস করে দেন মিনহাজুল আবেদীন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চট্টগ্রামের হয়ে আমি আর আকরাম ব্যাট করছি। আমরা যেন ব্যাটিং করতে না পারি, সেই কারণে উইকেটের পেছনে থেকে দেখি পাইলট বোলারকে লেগ সাইডে বোলিং করার নির্দেশ দিচ্ছে। এমন দল নিয়ে আমাদের সঙ্গে খেলতে আসতো!’

এর পর জবাব আসে পাইলটের, ‘হবেই না কেন, তখন চট্টগ্রাম দল অনেক শক্তিশালী ছিল। নান্নু ভাই, আকরাম ভাই, মাসুম ভাই, নোভেল ভাইসহ ৭/৮ জন জাতীয় দলের খেলোয়াড়, বাকিরা প্রিমিয়ার লিগের। আর আমার রাজশাহী দলে আমি একমাত্র প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড়, বাকিরা সব প্রথম বিভাগের খেলোয়াড়।’

পাইলটের কথা শেষ হওয়ার আগে আক্ষেপ ভরা কণ্ঠে তামিম বলেন, ‘ওই দিনটা কবে আবার চট্টগ্রামে আসবে, আমি সেটাই চিন্তা করি। ছোট থাকতে আমি খেলা দেখতে যেতাম, এক ইনিংস ব্যাটিং করে দুইবার প্রতিপক্ষকে অলআউট করে দিতো চট্টগ্রাম। কিন্তু আজকে...।’

কিছুক্ষণ চুপ করে থেকে সবার কথা শুনছিলেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। আচমকা তিনি দিলেন মজার এক তথ্য। অধিনায়ক নান্নু হলেও টস জিতলে ব্যাটিং নেওয়ার নির্দেশটা দিতেন আকরাম। হাসতে হাসতে সেই গল্পই শোনালেন নান্নু, ‘তামিম আমরা যখন টস করতে যেতাম, আকরাম সব সময় টস জিতে ব্যাটিং নিতো। উইকেট ভেজা থাকুক, বোলিং বান্ধব হোক, তার ব্যাটিং নিতেই হবে।’

স্ক্রিনে থাকা পাইলট তখন রসিকতা করেই পাল্টা বলেন, ‘ সব জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে খেললে ব্যাটিংতো নেবেই। এই দলটিতে শাহেদ নামের এক লেগ স্পিনার ছিলেন, গুগলি করতো। এমন দলের বিপক্ষে তিন দিনের ম্যাচ দুই আড়াই দিনে শেষ হতো। ওরা (চট্টগ্রাম) এক ইনিংস ব্যাটিং করতো। আর আমরা দুই ইনিংস করতাম। সত্যিই হতাশাজনক দিন ছিল আমাদের জন্য।’

/আরআই/এফআইআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঈদের পরও চলছে রঙচটা বাস, আবার সময় দিলো বিআরটিএ
ঈদের পরও চলছে রঙচটা বাস, আবার সময় দিলো বিআরটিএ
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে এমপি-মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার না করতে এমপি-মন্ত্রীদের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
১০ বাংলাদেশিকে সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারে অপহরণ
১০ বাংলাদেশিকে সীমান্ত এলাকা থেকে মিয়ানমারে অপহরণ
তিন মামলায় মিল্টনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
তিন মামলায় মিল্টনের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা