X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন

তাসকিন- সানিই প্রথম শিকার!

রায়হান মাহমুদ
২০ মার্চ ২০১৬, ২২:৩৩আপডেট : ২০ মার্চ ২০১৬, ২৩:৪৩

তাসকিন ও সানি ২০০৭ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও বোলারকেই নিষিদ্ধ করা হয়নি বৈশ্বিক কোনও টুর্নামেন্টে। আর সেই রেকর্ডটি নিজেই ভেঙে ফেলেছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি! এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশের স্পিনার আরাফাত সানি ও পেসার তাসকিন আহমেদকে। এই দুই ক্রিকেটারই প্রথম যারা শীর্ষ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চলাকালীন নিষিদ্ধ হলেন। এর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এ ধরনের ঘটনা আর ঘটেনি।
এর আগে বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে উদ্বোধনী টেস্টের পর সর্বপ্রথম নাইমুর রহমান দুর্জয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের। এরপর অভিযোগ উঠেছিল মোহাম্মদ রফিকের বিরুদ্ধেও। তবে ২০০৮ সালের নভেম্বরে স্পিনার আব্দুর রাজ্জাকই প্রথম বাংলাদেশি বোলার ছিলেন, যিনি নিষিদ্ধ হন। যদিও ২০০৯ সালে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বোলিংয়ে ফেরেন। সোহাগ গাজী ২০১৪ সালের আগস্ট মাসে আরেক বাংলাদেশি বোলার ছিলেন, যিনি বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন। পরবর্তী সময়ে অ্যাকশন পরীক্ষায় উতরালেও বলের সেই আগের ধার ফিরে পাননি। সোহাগ গাজীর পরে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে পেসার আল-আমিনের দিকেও সন্দেহের তীর ছোঁড়া হলেও নিষিদ্ধের খাড়ায় পড়তে হয়নি তাকে।
বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বিতর্কের শুরু অবশ্য বেশ আগে। ১৯৯৫’র মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা বক্সিং ডে টেস্টে মুত্তিয়া মুরালিধরনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ আনেন ম্যাচ আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার। এর ঠিক ১০ দিন পর ব্রিসবেনে মুরালির বল ‘নো’ ডাকা হয়। তিন বছরপর আবারও শ্রীলঙ্কা অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলে নো ডাকার দরুণ সফর বয়কটের হুমকি দেন তৎকালীন লঙ্কান অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা।
তবে ৯৫ এ অভিযোগ ওঠলেও কখনও নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হয়নি মুরালিকে। প্রকৃতিগতভাবেই তার হাতই একটু বাঁকা বলে পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়।

তবে বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধের খাড়ায় প্রথম পড়েন ‘রাওয়াল পিন্ডি এক্সপ্রেস’ খ্যাত শোয়েব আক্তার। ১৯৯৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট খেলতে গিয়ে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হন তিনি। অবশ্য পরবর্তী বোলিং অ্যাকশন শুধরে আবারও খেলায় নেমে পড়েন তিনি।

ক্যারিবিয়ান স্পিনার মারলন স্যামুয়েলস ও ২০০৮ সালে রিপোর্টেড হন। পরে তার কুইকার ডেলিভারি নিষিদ্ধ করে আইসিসি। স্যামুয়েলস মাঝে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে যাওয়ার অনুমতি পান।

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
থাইল্যান্ড সফর নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন প্রধানমন্ত্রী
অবশেষে চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি
অবশেষে চট্টগ্রামে স্বস্তির বৃষ্টি
আদালতে ড. ইউনূস
আদালতে ড. ইউনূস
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে সড়ক ধসে নিহত ৩৬
সর্বাধিক পঠিত
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
শিশু ঝুমুরকে ধর্ষণ ও হত্যার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখ মুছলেন র‌্যাব কর্মকর্তা
মিল্টন সমাদ্দার আটক
মিল্টন সমাদ্দার আটক
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোরে, পথচারীদের জন্য শরবত-পানির ব্যবস্থা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
একজন অপরাধীর গল্প বলতে চেয়েছিলেন তিশা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!