শাস্তির মেয়াদ ছিল তিন বছর। প্রথম দফায় আপিল করে শাস্তি নামিয়ে আনেন ১৮ মাসে। তবু সন্তুষ্ট হতে পারেননি ক্যারিয়ার জুড়ে নানা বিতর্ক সঙ্গী করে চলা উমর আকমল। তাই আপিল করেন আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস)। তাদের রায়ও এসেছে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানের পক্ষে। শাস্তি কমেছে আরও ৬ মাস। অর্থাৎ, দুই দফায় শাস্তির সময় কমে দুই বছর। বাকি থাকা যে একবছরের নিষেধাজ্ঞা, সেটা এর মধ্যে কাটিয়ে ফেলায় এখন মুক্ত উমর।
অপার সম্ভাবনা নিয়ে পা রেখেছিলেন আন্তর্জাতিক আঙিনায়। কিন্তু মাঠ ও বাইরের নানা বিতর্কে সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারে কালিমা লেগে দ্রুতই। বারবার নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার সামনে পড়া পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান সবশেষ নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিন বছর। অপরাধ ছিল, জুয়াড়ির কাছ থেকে দুই দফা প্রস্তাব পেয়েও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) না জানানো। যে কারণে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) শুরুর আগের দিন তাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল পিসিবি।
পরে এপ্রিলে পিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল উমরকে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি দেয়। যে শাস্তি কার্যকর হয় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকেই। সেই হিসাবে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে একবছর পূর্ণ হয়েছে। গত বছরের জুলাইয়ে প্রথম দফায় দেড় বছরের শাস্তি কমে যাওয়ার পর এখন দ্বিতীয় দফায় সিএএস ছয় মাস শাস্তি কমিয়ে দেওয়ায় প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরতে আর কোনও বাধা নেই উমরের।
অবশ্য এজন্য পিসিবির কাছে ৪২ লাখ ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপি জরিমানা হিসেবে জমা দিতে হবে এবং অংশ নিতে হবে বোর্ডের দুর্নীতি বিরোধী কার্যক্রমে।