X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৫ বৈশাখ ১৪৩১

কৃষকের ঘর থেকে জাতীয় দল, কেমন চলছে শরিফুলের দিনকাল

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৪ জুলাই ২০২১, ২০:২৪আপডেট : ২৪ জুলাই ২০২১, ২০:২৪

পঞ্চগড়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষক বাবার ঘরে জন্ম পেসার শরিফুল ইসলামের। ওখানকারই একটি গ্রাম মউমারি। এই বাজারের এক দোকানে বসে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্নটা হৃদয়ে এঁকেছিলেন শরিফুল ইসলাম। ধীরে ধীরে সেই স্বপ্নগুলো পূরণ হচ্ছে বাঁহাতি পেসারের। তিন ফরম্যাটেই জাতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ পেসার হয়ে উঠছেন তিনি। শনিবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টির আগে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন শরিফুল। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, স্বপ্নপূরণের পর কীভাবে কাটছে তার দিনগুলো।

২০১৫ সালে মউমারি বাজারে বসেই ভারতের বিপক্ষে মোস্তাফিজুর রহমানের আগুন বোলিং দেখে পেসার হওয়ার স্বপ্নটা উঁকি দিয়েছিল শরিফুলের মনে। সেই থেকেই নিজেকে পেসার হিসেবে গড়ে তুলেছেন এই তরুণ। টেলিভিশনের পর্দায় সাকিব-তামিম-মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের খেলা দেখা শরিফুল এখন তাদের সঙ্গেই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ছেন। সেই অনুভূতি ভাগাভাগি করতে গিয়ে আবেগী হয়ে উঠলেন শরিফুল, ‘যখন ছোট ছিলাম তখন সবার খেলাই দেখেছি। তামিম ভাই, সাকিব ভাই, মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই সবার খেলাই দেখেছি। এখন উনাদের সঙ্গে খেলছি। এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতোই। তাদের সঙ্গে এখন আমার অনেক ভালো সম্পর্ক হয়ে গেছে। সবাই আমরা একটা ফ্যামিলির মতো হয়ে আছি। কখনোই মনে হয় না আমি পরিবারের বাইরে আছি।’

তিন ফরম্যাট মিলিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে শরিফুল ১০ ম্যাচ খেলে ফেলেছেন। উইকেট সংখ্যা ১৫। বিশেষ করে, জিম্বাবুয়ে সফরে এসে দুর্দান্ত বোলিং করছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ। জাতীয় দলের জার্সিতে কাটনো সময়ের কথা বলতে গিয়ে শরিফুল বলেছেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে ভালো যাচ্ছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট শুরু হওয়ার পর থেকেই আমি সাদা বলে অনুশীলন করেছি। ওয়ানডের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি। ওটিস গিবসনের (পেস বোলিং কোচ) সঙ্গে কাজ করেছি। তিনি আমাকে অনেক ভালো ভালো পরামর্শ দিয়েছেন। ব্যাটসম্যানকে কীভাবে রিড করতে হয়, নতুন বলে কিংবা পুরনো বলে কীভাবে বোলিং করতে হয়। সেগুলো ম্যাচে প্রয়োগ করেছি। আলহামদুলিল্লাহ ভালো ফল এসেছে।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শরিফুলের। বড় দলের বিপক্ষে অভিষেকটা রাঙাতে পারেননি এই তরুণ। যদিও শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো বোলিং করেছেন তিনি। সামনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ওখানে ভালো করতে চান বাঁহাতি এই পেসার। এই চাওয়ার পেছনের কারণ ব্যাখা করতে গিয়ে শরিফুল বলেছেন, ‘আমি ফিট থেকে সামনে বড় বড় দলের সঙ্গে ভালো করার চেষ্টা করবো। বড় দলের সঙ্গে ভালো করতে পারলে নিজেরও ভালো লাগবে। বড় দলের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে ভালো বোলিং হলে সন্তুষ্টির জায়গাটা বেশি থাকে। আশা করি সামনে সুযোগ পেলে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স করতে পারবো।’

যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই তরুণ এখন জাতীয় দলে। শরিফুলের অভিষেক বেশ আগেই। শুক্রবার অলরাউন্ডার শামীম হোসেনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। নিজের প্রথম ম্যাচেই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি এই মঞ্চে খেলার যোগ্য। শরিফুলের জানালেন, বয়সভিত্তিক দলের সতীর্থকে নিয়ে অনেকদূর এগিয়ে যেতে চান, ‘শামীমের সঙ্গে আমি দুই বছর ধরে খেলছি। ও (শামীম) খুব ভালো ফিল্ডার ও পাওয়ার হিটার। আমরা দুজন চাই জাতীয় দলকে অনেকদিন সার্ভিস দিতে।’

করোনাকালে ক্রিকেটারদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। এই অবস্থায় থাকা কতটা কঠিন? শরিফুল বললেন, ‘প্রথম দিকে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে খুবই খারাপ লাগতো। তবে এখন এ বিষয়ে খাপ খাইয়ে নিয়েছি। পরিস্থিতির কারণে এটি করতেই হবে। এগুলো নিয়ে চিন্তা করলে আরও খারাপ লাগে, এগুলো নিয়ে চিন্তা না করাই ভালো।’

/আরআই/কেআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ
ভোটকেন্দ্র থেকে টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
ভোটকেন্দ্র থেকে টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
স্টার্টআপ বাংলাদেশের সঙ্গে এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার ও উইন্ডমিলের চুক্তি
স্টার্টআপ বাংলাদেশের সঙ্গে এশিয়াটিক মাইন্ডশেয়ার ও উইন্ডমিলের চুক্তি
হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
শেখ হাসিনাই হচ্ছেন ভারতে নতুন সরকারের প্রথম বিদেশি অতিথি
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
গ্রাম আদালত বিল পাস, জরিমানা বাড়লো চার গুণ
কেমন আছেন মিল্টনের আশ্রমে আশ্রিতরা
কেমন আছেন মিল্টনের আশ্রমে আশ্রিতরা