টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড পড়েছে মহাবিপদে। বৃষ্টিতে ম্যাচ পরিত্যক্ত হওয়ায় স্কটল্যান্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে তারা হেরে গেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী অস্ট্রেলিয়ার কাছে। শেষ দুটি ম্যাচ অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল ওমান ও নামিবিয়ার বিপক্ষে। সুপার এইটে উঠতে হলে এই দুটি ম্যাচে বড় ব্যবধানেই জিততে হবে তাদের। একই সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হবে অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড ম্যাচের দিকে। তারা চাইবে স্কটিশরা যেন হেরে নেট রান রেটে পিছিয়ে যায়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া নাকি ইংল্যান্ডকে বিদায় করতে তাদের সঙ্গে ‘চুক্তি’ করতে যাচ্ছে!
তিন ম্যাচে স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট পাঁচ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলে শেষ হবে তাদের গ্রুপ পর্বের খেলা। আগেই সুপার এইট নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়ার জন্য এই ম্যাচ হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লড়াই। সেক্ষেত্রে জয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে নামবে তারা। অন্যদিকে ইংল্যান্ড শেষ দুটি ম্যাচ জিতলে স্কটল্যান্ডের সমান ৫ পয়েন্ট হবে তাদেরও। তখন রান রেট ব্যবধান গড়ে দেবে দুই দলের মধ্যে। স্কটিশদের বর্তমান নেট রান রেট ২.১৬৪, আর ইংল্যান্ডের -১.৮০০। বলাবাহুল্য, ইংলিশদের বড় ব্যবধানে জিততে হবে। আর স্কটল্যান্ড যদি অজিদের হারিয়ে দেয় কিংবা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়, তাহলে কোনও হিসাব ছাড়াই ইংল্যান্ড বাদ পড়বে।
অবশ্য নেট রান রেটে যেন স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ডের চেয়ে এগিয়ে থাকে, সেই পথটা তৈরি করে দিতে পারে অস্ট্রেলিয়া। আগামী শনিবার নামিবিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড, পরের দিন অস্ট্রেলিয়া বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচ। সেক্ষেত্রে অজিরা ম্যাচের মধ্যেই জানতে পারবে, হারলেও কোন সমীকরণে নেট রান রেটে এগিয়ে থাকতে পারবে স্কটিশরা।
ইংল্যান্ডকে বিদায় করার এমন সুযোগ লুফে নিতে কিন্তু কোনও আপত্তি নেই অস্ট্রেলিয়ার। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের পরের পর্বে উঠতে বাধা দেওয়ার কথা ভাবছেন কিনা প্রশ্নে তাদের তারকা পেসার জশ হ্যাজেলউড বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমার মনে হয়। এই টুর্নামেন্টের কোনও পর্যায়ে আবারও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে হতে পারে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাদের বিপক্ষে আমরা কিন্তু কয়েকবার ভুগেছি। সুতরাং আমরা তাদের টুর্নামেন্ট থেকে যেন বিদায় করতে পারি, সেদিকে আমাদের বেশ আগ্রহ আছে, সম্ভবত সবারই।’
অবশ্য হ্যাজেলউডের এই বক্তব্যকে হেসে উড়িয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের অস্ট্রেলিয়ান কোচ ম্যাথু মট। তার মতে, অজি পেসার ঠাট্টা করেছেন। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ায় বেড়ে উঠেছি, আমি জানি প্রত্যেক ম্যাচেই তাদের জেতার ইচ্ছা। আমি নিশ্চিত তারা সর্বশক্তি দিয়ে খেলবে। আমি খুবই আশাবাদী যে এটা ছিল ঠাট্টা করে করা মন্তব্য, কারণ সে (হ্যাজেলউড) খুব রসিক ছেলে।’
অবশ্য ইচ্ছা করে অস্ট্রেলিয়া এমন কিছু করলে আইসিসির আচরণবিধি লংঘনের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হবেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। সেক্ষেত্রে দুটি ম্যাচ নিষিদ্ধের পাশাপাশি ৫০ থেকে শতভাগ ম্যাচ ফি জরিমানা হতে পারে তার।