টেস্টে ভারত ও বাংলাদেশের ম্যাচ একপেশে হয়ে এসেছে। দাপট দেখিয়ে সাফল্য পেয়েছে ভারত। কিন্তু এবার রেকর্ড উল্টে দেওয়ার লক্ষ্য বাংলাদেশের। পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার আত্মবিশ্বাস সঙ্গী করে ভারতে গেছে নাজমুল হোসেন শান্তরা। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলি, অজয় জাদেজা ও দিনেশ কার্তিকের মতো প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটারদের বক্তব্যের সারমর্ম হলো, বাংলাদেশ এবারও পাত্তা পাবে না। কিন্তু জনপ্রিয় ভারতীয় ক্রিকেট বিশ্লেষক ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে তাদের দলে নেই। তার মতে, এবার বাংলাদেশ ভিন্নরূপে দাঁড়াবে ভারতের সামনে।
আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ খেলতে রবিবার ভারতে পৌঁছে গেছে শান্ত-মুশফিকরা। ভারতীয় কন্ডিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে অনুশীলনেও নেমে যাবে। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের বিচারে এই বাংলাদেশ দলকে সেরা মানছেন হার্শা এবং ভারতের বিপক্ষে তাদের লড়াই দেখার প্রত্যাশা তার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে হার্শা বলেছেন, ‘সবার আগে বলতে চাই আমি খুব খুশি যে ভারত আবারও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, এই একটি দেশ যারা বেশি আমন্ত্রণ পায় না। ২০১০ সাল থেকে তারা ইংল্যান্ডে টেস্ট খেলেনি। অস্ট্রেলিয়া একবার তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল, ২০০৩ সালে, তাও আবার অফসিজনে ডারউইনে। আমি খুব খুশি যে ভারত এই দায়িত্ব নিয়ে তাদেরকে টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।’
সম্প্রতি পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক সাফল্য পেয়েছে। যদিও সাবেক তারকা অজয় জাদেজা বলেছেন, পাকিস্তান ও ভারত এক নয়। হার্শাও তাই মনে করেন, কিন্তু লড়াইয়ের প্রত্যাশা তার, ‘ভারত ফেভারিট হিসেবে শুরু করবে এবং এখন পর্যন্ত বলতেই হচ্ছে ভারত অনেক এগিয়ে থাকবে। কিন্তু আমি বাংলাদেশের কাছ থেকে লড়াইয়ের আশা করছি। অতীতে এমন কিছু আমি দেখিনি। যদি তারা লড়াই করতে পারে, তাহলে এটা খুব ভালো দুই টেস্টের সিরিজ হতে যাচ্ছে।’
বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এই দলকে সেরা মানছেন ভারতীয় ধারাভাষ্যকার, ‘দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটিকেই আমার কাছে সেরা মনে হচ্ছে। বিশেষ করে তাদের পেস আক্রমণের কারণে। নাহিদ রানা রোমাঞ্চকর বোলারদের একজন। হাসান মাহমুদও পাকিস্তানকে ভুগিয়েছে। হতে পারে এখানে (ভারতে) এটাই তাসকিনের শেষ সুযোগ। সেও নিজেকে প্রমাণ করতে চাইবে যে আমরা তাকে কেন এত বেশি মূল্যায়ন করি।’