লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দ্বিতীয় দিনও বোলারদের। প্যাট কামিন্সের ৬ উইকেটের জবাবে লুঙ্গি এনগিডি ও কাগিসো রাবাদা মিলে সমানসংখ্যক উইকেট নিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছেন। শিরোপার লড়াই এখন দুই দলের দিকেই হেলে পড়েছে।
কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৩৮ রানে অলআউট হয়। ২১২ রান করা অস্ট্রেলিয়া ৭৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও দুই দলের পড়েছে ১৪ উইকেট। দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার লিড ২১৮ রানের।
৭৩ রানে সাত উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়া অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাটে চড়ে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে দিনের খেলা শেষ করেছে। মিচেল স্টার্ক ১৬ ও নাথান লায়ন ১ রানে অপরাজিত আছেন।
স্টার্ককে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ৬১ রানের জুটি গড়ার পথে ক্যারি দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন। বোলারদের উইকেট উৎসবের দিনে এই জুটি অজিদের স্বস্তি এনে দেয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমেও কাগিসো রাবাদা একই ওভারে ফের উসমান খাজা (৬) ও ক্যামেরন গ্রিনকে (০) ফেরান। দলীয় ২৮ রানেই দুই ওপেনার ফিরে যান।
২ উইকেটে ৩২ রানে অস্ট্রেলিয়া চা বিরতিতে যায়। ফিরে ৪৮ বলে ২৯ রানের ব্যবধানে আরও পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে তারা। লুঙ্গি এনগিডি এই সময়ে তিন উইকেট নিয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। প্রথম ইনিংসের হাফ সেঞ্চুরিয়ান স্টিভ স্মিথ (১৩) ও বেউ ওয়েবস্টার (৯) তার শিকার।
এই ধসের পর ক্যারি ও স্টার্কের প্রতিরোধ। দলীয় ১৩৪ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। অবশ্য দিনের দুই বল বাকি থাকতে গালিতে মার্কো ইয়ানসেনের হাত ফসকে জীবন পান স্টার্ক।
এনগিডি ও রাবাদা এদিন তিনটি করে উইকেট নেন। একটি করে পান ইয়ানসেন ও উইয়ান মুল্ডার।
দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে ৪৩ রানে দিনের খেলা শুরু করেছিল। লাঞ্চের আগে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত দেন টেম্বা বাভুমা। ডেভিড বেডিংহামকে নিয়ে আরও ৫১ রান যোগ করেন তিনি।
প্রথম সেশনে বাভুমাকে ৩৬ রানে ফেরান কামিন্স। ভাঙে ৬৪ রানের জুটি। আর কোনও উইকেট না হারিয়ে কাইল ভেরেইন্নাকে নিয়ে লাঞ্চে যান বেডিংহাম। তখন প্রোটিয়াদের স্কোর ৫ উইকেটে ১২১ রান।
দ্বিতীয় সেশনে কামিন্সের আগুন বোলিংয়ে আর টিকতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ৩৫ বলে মাত্র ১২ রানে বাকি পাঁচ উইকেট হারায় তারা। ১১১ বলে ৬ চারে ৪৫ রানের সেরা ইনিংস খেলেন বেডিংহাম।
কামিন্স ১৮.১ ওভারে ২৮ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ৩০০তম টেস্ট উইকেটের মাইলফলকে পৌঁছান। অষ্টম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এই কীর্তি গড়েন তিনি। তাছাড়া লর্ডসে কোনও টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সেরা বোলিং ফিগারও গড়েন কামিন্স।