শ্রীলঙ্কায় টেস্ট সিরিজ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে এই ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব ছাড়লেন নাজমুল হোসেন শান্ত। কলম্বোতে ইনিংস ও ৭৮ রানে জিতেছে শ্রীলঙ্কা। ১-০ তে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ।
শান্ত বলেছেন, 'আমি আর (অধিনায়ক হিসেবে) টেস্টে চালিয়ে যেতে চাই না। একটা বার্তা পরিষ্কারভাবে সবাইকে দিতে চাই। এটা ব্যক্তিগত কিছু না। দলের ভালোর জন্য এই সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি। আমি মনে করি এটাতে দলের ভালো কিছুই হবে। আমার এই ড্রেসিং রুমটায় লম্বা সময় ধরে থাকার সুযোগ হয়েছে। আমি মনে করি তিন অধিনায়ক এই ড্রেসিংরুমে যৌক্তিক (অযৌক্তিক)। এটা ব্যক্তিগত মতামত। ক্রিকেট বোর্ড হয়তো আলাদাভাবে চিন্তা করতে পারে। সেটার প্রতি পূর্ণ সম্মান আমার আছে।'
তার ব্যাখ্যা, 'এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত যে তিনটা অধিনায়ক দলের জন্য একটু কঠিন হতে পারে। দলের ভালোর জন্য আমি এখান থেকে সরে এসেছি। বোর্ড যদি মনে করে আলাদাভাবে তিনটা অধিনায়ক তারা রাখবে এটা একেবারেই তাদের সিদ্ধান্ত। আমি আশা করবো এই জিনিসটা কেউ না মনে করে যে আমি ব্যক্তিগত কোনও কিছু থেকে বা আমার মন খারাপ থেকে, রাগ থেকে জিনিসগুলো করেছি। এটা আমি পরিষ্কার করলাম। এটা শুধু দলের ভালোর জন্য। এখানে ব্যক্তিগত কিছু নাই।'
শ্রীলঙ্কা সিরিজের আগে হুট করেই শান্তকে না জানিয়ে তার ওয়ানডে নেতৃত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। গত ১২ জুন এক জরুরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে বিসিবি তাকে ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। মেহেদী হাসান মিরাজকে নতুন দায়িত্ব দেয়। সাধারণত বোর্ডের এজেন্ডায় আলোচনার পর অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, কিন্তু শান্তর ক্ষেত্রে সেই প্রথা মানা হয়নি।
২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের আগে নেতৃত্ব পান শান্ত। তার অধীনে ১৪ টেস্টে চার ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে পাকিস্তানে ছিল ঐতিহাসিক দুই টেস্ট জয়। এই সময়ে ৯ ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। একমাত্র ড্র শ্রীলঙ্কায় গলে।