X
মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘ভারতের বিপক্ষে হার জীবন বদলে দিয়েছে’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:০৭আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২৩:০৭

সুইনি প্রু মারমা এখন কাজ করছেন বাফুফের হেড অব উইমেন্স হিসেবে ২০১২ সালে মেয়েদের সাফ ফুটবলে শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে হারের যন্ত্রণা এখনও ভুলতে পারেননি সুইনি প্রু মারমা। সেই ম্যাচে প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেও শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলে হারতে হয়েছিল। ওই হারের পর তিনি লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছিলেন- একসময় কোচ হিসেবে কাজ করবেন, দেশের মেয়েদের ফুটবলের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন। সুইনু এখন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের হেড অব উইমেন্স হিসেবে সেই কাজটি করে যাচ্ছেন।

২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলে সুনামের সঙ্গে খেলেছেন সুইনু প্রু। গত এপ্রিল থেকে আছেন বাফুফের সঙ্গে। এতে পূরণ হয়েছে তার স্বপ্ন। বাংলা ট্রিবিউনকে সাবেক মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমি হয়তো কোচিংয়ে আসতাম না, ক্যারিয়ার শেষে অন্য কোনও পেশায় জড়িত থাকতাম। আসলে ভারতের বিপক্ষে সেই ম্যাচটি (হার) জীবন বদলে দিয়েছে। ওই ম্যাচের পরই আমি লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলি। আমার পর যারা খেলোয়াড় হবে, তারা যেন এর চেয়েও ভালো খেলতে পারে। আর কখনও মনোবল না হারায়। আর আমি যদি সুযোগ পাই তাহলে মেয়েদের ফুটবল উন্নয়নে কাজ করবো। সেই স্বপ্ন এখন আমার পূরণ হয়েছে।’

এজন্য সুইনু বাফুফের প্রতি কৃতজ্ঞ। নিজের ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, “বাফুফের অধীনে ২০১৩ সালে ১৪ জনকে নিয়ে ‘সি’ লাইসেন্সের কোর্স হয়। সেখানে আমি অংশ নেই। খেলার পাশাপাশি কোচিং করতে পারবো তখন এমন সুযোগের কথা ভাবতে পারিনি। তবে এখন অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। তাই আমাদের মতো অনেকেই কোচিংকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। এজন্য বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”

২০১৯ সালে সুইনু এএফসি ‘বি’ লাইসেন্স পেয়েছেন। এখন মেয়েদের কোচিংয়ে জয়া চাকমা ও মিরোনাসহ আরও অনেকেই আসছেন কিংবা লাইসেন্স নিচ্ছেন। সুইনু তাই বললেন, ‘আমি যখন খেলা শুরু করি, তখন মেয়েদের কোচিংয়ের কোনও ধারণাই ছিল না। আমার ফুটবল ক্যারিয়ার ছিল ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত। দেশের জার্সিতে প্রথম আমরা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি ২০১০ সালে। খেলোয়াড় থাকাকালীন কোচিং কোর্স করার সুযোগ পেয়েছিলাম বলে আমার জীবনধারা বদলে গেছে।’

কোচিং করে মেয়েদের যেমন দীক্ষা দিচ্ছেন পাশাপাশি এই পেশায় এসে স্বাবলম্বীও হয়েছেন সুইনু, ‘অবসরের পরও প্রিয় ফুটবল অঙ্গনে কাজ করতে পারছি। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পেরেছি। এখন ফুটবলই আমার কাছে আবেগ, অনুভূতি ও শেষ কথা। তাইতো করোনার মাঝেও মেয়েদের ফুটবলে ব্যস্ত সময় পার করছি। ৯০ জন খেলোয়াড়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। তাদের ট্রেনিংয়ের খোঁজ-খবর রাখতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।’

/টিএ/কেআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় সরকারি কর্মচারী
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোটের প্রচারণায় সরকারি কর্মচারী
১৩৯ উপজেলায় ভোট বুধবার, কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
১৩৯ উপজেলায় ভোট বুধবার, কেন্দ্রে গেলো সরঞ্জাম
‘প্রমাণ-অপ্রমাণের যাত্রা সুদীর্ঘ, সেখানে জড়িয়ে আছে হাহাকার’
বিচারপ্রার্থীদের প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি‘প্রমাণ-অপ্রমাণের যাত্রা সুদীর্ঘ, সেখানে জড়িয়ে আছে হাহাকার’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি, বিএনপির প্রস্তুতি কী?
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
আসছে ব্যয় কমানোর বাজেট
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা