বিশ্বকাপ বাছাইয়ে গ্রুপে একটি মাত্র দলের বিপক্ষে পয়েন্টে নিতে পেরেছে বাংলাদেশ, সেটা হলো লেবানন। ঘরের মাঠে শেখ মোরসালিনের দেওয়া একমাত্র গোলে এক পয়েন্ট ছিনিয়ে নেয় লাল-সবুজ দল। এবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আবার লেবানন সামনে। ১১ জুনের ম্যাচকে সামনে রেখে আজ বিকালে কাতারের দোহার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছে বাংলাদেশ দল। বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিধর দলের বিপক্ষে তুমুল লড়াইয়ের পর হাভিয়ের কাবরেরার দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। দোহার ম্যাচটিতে রেখেছে তাই পাখির চোখ। জয়ের সংকল্প তপু-জামালদের চোখেমুখে।
ঢাকা ছাড়ার আগে অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে অধিনায়কত্ব করা ডিফেন্ডার তপু বর্মণ আশাবাদী কণ্ঠে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করে হেরেছি। ওদেরকে সেভাবে খেলতে দেইনি। যেভাবে তাদের বিপক্ষে খেলেছি, তাতে করে সবার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। তাই লেবানন ম্যাচে ভালো ফল আশা করতেই পারি। কেননা লেবানন তো সকারুদের মতো শক্তিশালী দল নয়।’
এই ভালো ফলের সংজ্ঞা কী? এমন প্রশ্নের উত্তরে বসুন্ধরা কিংসের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার উত্তর দিলেন এভাবে, ‘লেবাননের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ড্র করেছি আমরা। সেই ম্যাচে জিততেও পারতাম। তা হয়নি। এখন দলের যা অবস্থা, তাতে করে জয়ের কথাই বলতেই পারি। আমরা যদি ঢাকার মতো পারফরম্যান্স সেখানে দেখাতে পারি, তাহলে তিন পয়েন্ট আসতেই পারে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫-৩-২ ছকে খেলেছিল বাংলাদেশ। লেবাননে বিপক্ষে তা হয়তো হবে না। একটু আক্রমণাত্মক ছকে খেলার সম্ভাবনা আছে। দলে বিশ্বনাথ ও মজিবর রহমান জনি যোগ দেওয়ায় কাবরেরার শক্তি বেড়েছে। বিশেষ করে রক্ষণে মেহেদী হাসান মিঠুর জায়গায় পরীক্ষিত বিশ্বনাথ থাকলে ভরসাটা একটু বেশি করতে পারেন কোচ। কাবরেরা আগের দিনই ম্যাচশেষে লেবাননের বিপক্ষে ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করার কথা বলেছিলেন। সেটা যে তিন পয়েন্টের জন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখছে না।