X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘এখনকার ক্রিকেটারদের গেম সেন্স কম’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১১ মে ২০২০, ২০:৫৪আপডেট : ১১ মে ২০২০, ২১:০৩

তামিমের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় ছিলেন তিন সাবেক অধিনায়ক ছিল না বিশেষজ্ঞ কোনও কোচ, ট্রেনার, ফিজিও কিংবা কম্পিউটার অ্যানালিস্ট। তবুও ২২ গজের লড়াইয়ে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন নাঈমুর রহমান-খালেদ মাহমুদ-হাবিবুল বাশাররা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সুযোগ-‍সুবিধা ছাড়াই সাফল্য পেয়েছেন তারা। কিন্তু কিভাবে? তামিম ইকবালের সঙ্গে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় এই প্রশ্নই ছিল সাবেক তিন অধিনায়কের কাছে। উত্তরে তারা জানালেন, গেম সেন্স কাজে লাগিয়েই আসতো সাফল্য, যেটা এখনকার ক্রিকেটারদের মধ্যে কম।

২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টে বল হাতে সাফল্য পেয়েছিলেন নাঈমুর। শচীন টেন্ডুলকার-সৌরভ গাঙ্গুলী-রাহুল দ্রাবিড়দের নিয়ে শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপকে ধসিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই স্পিনার। বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে নাঈমুর নিয়েছিলেন ৬ উইকেট।

রবিবার রাতে তামিমের সঙ্গে ফেসবুক আড্ডায় এই সাফল্যের রহস্য উন্মোচন করলেন সাবেক অধিনায়ক এভাবে, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের উইকেটটা ভালো ব্যাটিং সহায়ক ছিল। ওখানে ভালো ব্যাটিং করার পর স্পিনারদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়। আমি চাইতাম অর্থোডক্স বোলিং করতে। ওই (টেন্ডুলকারের) উইকেটটা পাওয়ার পর আমি আরও অনুপ্রেরণা পাই। তখন কিন্তু টেন্ডুলকার-গাঙ্গুলী-দ্রাবিড়দের বিপক্ষে বোলিং করা কঠিন ছিল। আমি কিছু চান্স নিয়েছিলাম, ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা সম্পর্কে আমার কিছু ধারণা ছিল। চেষ্টা করেছিলাম আক্রমণাত্মক কিছু করতে। টেন্ডুলকার ও গাঙ্গুলীর উইকেট পাওয়া বিশাল কিছু।’

ওই প্রসঙ্গের মধ্যেই মাহমুদ জানালেন, কিভাবে তাদের সময়কার ক্রিকেটাররা সাফল্য পেতেন, ‘আমরা স্কিুলফুল খেলোয়াড় ছিলাম না। ২০০০ সালে যখন বোলিং মেশিন আসলো, যখন তারা বোলিং মেশিন চালাতো আমাদের দেখে তারা হাসতো। আমরা মেশিনের নাম দিয়েছিলাম মুচকি হাসি! তোরা (তামিমকে উদ্দেশ্য করে) যেমন একই শট বারবার অনুশীলন করিস, আমরা সেটা করার সুযোগ পাইনি। আমাদের মধ্যে যেটা ছিল- আমরা নিয়মিত ম্যাচ দেখতাম। আমাদের মধ্যে গেম সেন্স ভালো ছিল।’

মাহমুদ মনে করেন, এখনকার খেলোয়াড়দের মধ্যে গেম সেন্স কম, ‘আমি এখন যেটা অনুভব করি, এখনকার ক্রিকেটারদের স্কিল ও সাহস থাকলেও গেম সেন্স একেবারেই কম। আমাদের ছেলেরা এখন মাঠে গিয়ে খেলা দেখে না। আমরা যেটা করতাম, বাইরের দলগুলোর প্রচুর ম্যাচ দেখতাম। দুর্জয় (নাঈমুর) যে ৬ উইকেট নিয়েছে, গেম সেন্স ছিল বলেই। ব্যাটসম্যানদের সম্পর্কে ধারণাটা পরিষ্কার ছিল।’

তাই বর্তমান ক্রিকেটারদের জন্য নাঈমুরের পরামর্শ, ‘সবার প্রতি আমার অনুরোধ তোমরা খেলা দেখো। যখন অবসর সময় কাটাবে ম্যাচ দেখবে। খেলা দেখলে কিন্তু অনেক শেখা যায়।’

মাহমুদ অবশ্য জানালেন তামিমের পরিসংখ্যান-প্রীতির কথা, ‘তামিম কিন্তু প্রচুর খেলা দেখে। অনেকের পরিসংখ্যান তামিমের মুখস্ত। বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ কী করছে না করছে সব জানে তামিম।’

কয়েকটি চার দিনের ম্যাচ খেলেই প্রথম টেস্ট খেলতে নেমেছিল বাংলাদেশ। অনভিজ্ঞ এক দল কিভাবে সামলালো ভারতের মতো এই দলকে- তামিমের এমন প্রশ্নে নাঈমুরের উত্তর, ‘ভারতের যে ব্যাটিং লাইন আর আমাদের যে বোলিং লাইন ছিল, তার মধ্যে ছিল আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এডি বারলো আমাদের কোচ ছিল, উনি আমাদের কিছু তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন। তখন কম্পিউটার অ্যানালিস্টের কথা চিন্তাই করার কথা না, তখন আমাদের ফিজিও, ট্রেনার কিংবা বিদেশি কোচই সেভাবে জনিপ্রয় হয়ে উঠেনি। ১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফিতে গর্ডন গ্রিনিজ কোচ হয়ে আসলো। আমাদের ফিজিও ও ট্রেনারের সঙ্গে পরিচয় হয় ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে।’

কম্পিউটার অ্যানালিস্ট না থাকলেও কিভাবে প্রতিপক্ষ সম্পর্কে ধারণা পেতেন, সেটাও জানালেন বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক, ‘বাংলাদেশে যারা বিদেশি খেলোয়াড় খেলতে আসতো, ওদের কাছ থেকে যা শুনতাম ওটাই কাজে লাগতাম। বছরে ২-৩ টি ওয়ানডে খেলতাম আমরা। তবে প্রচুর খেলা টিভিতে দেখতাম। ওখান থেকেই আমরা তথ্য নিতে পারতাম। এছাড়া বড় বড় খেলোয়াড় যারা আমাদের দেশে খেলতে আসতো, তাদের সঙ্গে আলাপ করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পর্কে ধারণা নিতাম।’

/আরআই/কেআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
বিএনপি গণতন্ত্রে অকার্যকর ডামি রাজনৈতিক দল: ওবায়দুল কাদের
চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
চারতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মাদ্রাসাছাত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে চিকিৎসা খাতে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
এবার ঘুমটা ভালো হবে ডু প্লেসির
এবার ঘুমটা ভালো হবে ডু প্লেসির
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
চুক্তিতে মাউশির ডিজি হলেন নেহাল আহমেদ
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি প্রসঙ্গে যা বললেন রাষ্ট্রদূত
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী