মিরপুর স্টেডিয়ামে আমেরিকা প্রবাসী একজন পাকিস্তানি সমর্থককে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানি ওই সমর্থককে জোর করে বাংলাদেশের পতাকা পরানো হয়েছে। এমনকি তিনি লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের এমপি ইলিয়াস মোল্লার উপস্থিতিও রয়েছে ওইসব ছবিতে।
বশির চাচা নামে পরিচিত ওই পাকিস্তানিকে হেনস্তা করার হয়েছে দাবি করে কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকসহ সামাজিক গণমাধ্যমগুলোতে। যদিও বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকরে মোহাম্মদ বশির (বশির চাচা) জানান, তাকে কেউ হ্যারাস করেনি।
উল্লেখ্য ৬২ বছর বয়সী শিকাগোর এই রেস্তোরাঁর মালিক গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় পৌঁছেন। তিনি ভারত-পাকিস্তানের পতাকা সম্বলিত একটি পোশাক পরেন। যার অর্ধেকে থাকে পাকিস্তানি পতাকা, অর্ধেক থাকে ভারতের। তিনি পাকিস্তানি হলেও তার স্ত্রী রাফিয়া ভারতীয়।
বশির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেউ আমাকে জোর করে বাংলাদেশের পতাকা পরায়নি (নো বডি ফোর্সড), আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি, এখানকার মানুষ খুবই ভালো। এমনকি ফাইনালে বাংলাদেশের জয় নিয়েও আমি আশাবাদী।’
মিরপুরের প্রিন্স হোটেলে অবস্থান করা বশির আহমেদ টেলিফোনে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সেদিন আমাকে কোনওভাবেই জোর করে বাংলাদেশি পতাকা পরানো হয়নি। খেলা চলাকালে আমি সেদিন পাকিস্তানি পতাকা নিয়ে ভেতরে যেতে চেয়েছিলাম। তখন আমাকে চার/পাঁচজন এসে বললেন, ‘ইউ ডোন্ট ক্যারিড পাকিস্তানি ফ্ল্যাগ, আই সেইড হোয়াই। দেন বলাথা- প্রাইম মিনিস্টার ইজ ইনসাইড, নো পাকিস্তানি ফ্ল্যাগ। আফটার ম্যাচ ফিনিশ, আফটার বাংলাদেশ উইন আই ক্যারিড বাংলাদেশস ফ্ল্যাগ, অ্যান্ড হাম বোলা- বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’
এ সময় তিনি নিজ থেকেই বলেন, ‘আই লাভ বাংলাদেশ। সামথিং হ্যাপেন্ড ইন সেভেন্টি ওয়ান, দেন আই ওয়াজ স্মল, ভেরি স্মল, বাট আল্লাহ-তায়ালা অলরেডি গিভ পানিশম্যান্ট টু পাকিস্তান..ইউ নো। আই ফিল ভেরি সরি… হোয়াট হ্যাপেন্ড ইন সেভেন্টি ওয়ান।’
কিছু ছবি দেখে মনে হয়েছে কাঁদছেন এমন প্রশ্ন করা হলে মোহাম্মদ বশিরবলেন, ‘নো নো, আই ফিল হ্যাপি, আই ওয়াজ নট ক্রায়িং। হতে পারে যে, মে বি, পাকিস্তান ম্যাচে হেরে গিয়েছে একটা কষ্ট তো থাকতেই পারে, আই বর্ন ইন পাকিস্তান, পাকিস্তান লস্ট। বাট বাংলাদেশি পিপল ভেরি হ্যাপি, বাংলাদেশি পিপল ভেরি গুড, আই অ্যাম হ্যাপি। অ্যান্ড ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ উইল উইন। আই লাভ ধোনি, বাট বাংলাদেশ উইল উইন।’
‘আমাকে হ্যারাস করা হয়নি’
/জেএ/এমআর/