বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তিপণ্য ও টেলিকম নেটওয়ার্কের নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন বাংলাদেশে তার যাত্রার ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করলো। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে কেক কেটে পালন করা এরিকসন বাংলাদেশের জন্মদিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ইমরান আহমেদ। এসময় তিনি বলেন, যেকোনও যাত্রায় ২০ বছর খুব কম সময়। আমরা চাই এরিকসন যুগের পর যুগ এ দেশে সেবা দিয়ে যাক। তিনি বলেন, আমাদের সবার ‘বেটার ব্রেইন’ রয়েছে। দেশের অর্ধেক মানুষের বেটার ব্রেইনও যদি আমরা ব্যবহার করতে পারি তাহলে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। আমরা ‘নেক্সট স্টেপ’ নয়, ‘জায়ান্ট স্টেপ’ নিতে পারব।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে, ডাক, টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। বাংলাদেশ এরই মধ্যে তা জানান দিতে শুরু করেছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শার্লোটা শ্লেটার, এরিকসন-এর বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কার প্রধান টড অ্যাস্টন।
এর আগে লা মেরিডিয়ান হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে সকাল থেকে কৃষি, স্বাস্থ্য ও আধুনিক জীবন-যাপনে বাংলাদেশ কেমন প্রযুক্তিময় হবে তারই প্রদর্শনী ছিল এরিকসন বাংলাদেশের। প্রদর্শনীতে আরও ছিল রোবোটিক আর্ম, স্মার্ট পার্কিং ও স্মার্ট ওয়াটার গ্রিড।
অনুষ্ঠানে বলা হয়, ২০ বছর ধরে এরিকসন বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে বিভিন্নমুখী অবদান রেখে চলেছে। এর মাধ্যমে ২০ বছরের অংশীদারিত্ব, প্রতিশ্রুতি ও সম্মিলিত প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের ইতিহাস উন্মোচিত হয়েছে। ১৯৯৭ সাল থেকে শুরু করে এরিকসন এক উদ্ভাবনী প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে চলেছে। সূচনা করেছে অনেকগুলো মাইলফলক।